পরীমণিকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার আবেদন
৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৪১
ঢাকা: চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণি বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় সশরীরে আদালতে হাজির হতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহাবুবুল হাসান এই আবেদন করেন।
এ সময় তিনি আদালতকে বলেন, গর্ভবতী থাকায় পরীমণির পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দিতেন। এখন তিনি মা হয়েছেন। তাই আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ধার্য তারিখে তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
অন্যদিকে পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) এর বিরোধীতা করে শুনানি করেন। আইনজীবী বলেন, মাস খানেক হলো পরীমণি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। তাছাড়া সরকারিভাবেও মাতৃত্বকালীন ছুটিও তো ৬ মাস। তিনি সুস্থ হলে আদালতে হাজিরা দিবেন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালতে আবেদনটি নথিভুক্ত করেন। এদিকে মামলার বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমানকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আগামী ১৩ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এদিন পরীমণির পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। পরীমণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও খালু কবীর হাওলাদার আদালতে হাজিরা দেন।
গত ৫ জানুয়ারি পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পরীমণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমণির বড় খালু কবীর হাওলাদার। আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।
এর আগে, গত বছরের ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। গত ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। পরে গত ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকাল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত ১৯ আগস্ট কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপরে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন পরীমণি কারামুক্ত হন।
সারাবাংলা/এআই/এনএস