ঢাকা: বরিশালের সঙ্গে খুলনা বিভাগের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের আরেকটি দুয়ার খুলল। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দুই মাস পর রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন পিরোজপুরের কঁচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।
সেতুটি উদ্বোধনের পর দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হলো। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সেতুটি ঘিরে কঁচা নদীর দুই তীরের মানুষ উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির সমাপ্তির পাশাপাশি ফেরি পারাপারে সময়ও বাঁচবে।
প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ের চামেলি হল প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। রোববার রাত ১২টা ১মিনিটে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এসময় সেতুর দুই প্রান্তে পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা ও কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়ায় দু’টি প্যান্ডেলে উপস্থিত মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম। এতে যোগ দিয়েছেন সেতুর দুই প্রান্তের হাজারও মানুষ।
২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৩.৪০ মিটার প্রস্থের সেতুতে ১০টি পিয়ার ও ৯টি স্প্যান রয়েছে।
৮৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি চীনা প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। এর মধ্যে, ৬৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীন সরকার এবং বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের। গত ৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেন।