Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা আমাদের কর্তব্য: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৩৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশকে আরও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়া। কারণ আমাদের ২০০৮ সালে ভোট দিয়ে আপনারা জয়যুক্ত করেছেন। কাজেই দেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।’

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের চামেলী হল থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। আজ (রোববার) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

এই সেতু উদ্বোধনের ফলে বরিশালের সঙ্গে খুলনা বিভাগের সড়ক পথে যোগাযোগের আরেকটি দুয়ার খুলল। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সেতুটি ঘিরে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন দুই তীরের মানুষ। সেতু হওয়ায় চলাচলে মানুষের ভোগান্তি শেষ হওয়ার পাশাপাশি ফেরি পারাপারে বাঁচবে সময়। অনুষ্ঠানে সেতুর দুই প্রান্তে পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা ও কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়ায় দুটি প্যান্ডেলে উপস্থিত মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের বিশাল উন্নতি হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চল সব সময় অবহেলিত ছিল। তাই এই অঞ্চলের সাবেক সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেই। কারণ আত্মসামাজিক উন্নয়ন করতে হলে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে, যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে হবে। সেই কথা মনে রেখেই আমরা বিভিন্ন সেতু ও রাস্তা নির্মাণ করি। যাতে করে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়।’

বিজ্ঞাপন

সেতুর উদ্বোধনে সশরীরে যেতে না পারার আক্ষেপ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা আমার মনটা পড়ে আছে আপনাদের কাছে। এভাবে ঘরে বসে উদ্বোধন করলাম, নিজে যেতে পারলাম না, দেখতে পারলাম না— এটা সত্যি আমার জন্য খুব কষ্টকর।’

চীনের অর্থায়নে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চীন আমাদের সবসময় বন্ধুপ্রতীম দেশ। তাদের সহযোগিতায় সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছিলেন, একদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা অপরদিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজকে তার সুফল আপনারা পাচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য দেশকে আরও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়া। কারণ ২০০৮ সালে ভোট দিয়ে আপনারা জয়যুক্ত করেছেন। কাজেই দেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নতিতে অনেক দূর এগিয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও অর্জন করতে পারবে।’ মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন পদক্ষেপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছি। এগুলো যখন কার্যকর হবে তখন আমাদের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে বলে মনে করি।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

এর আগে, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুতে ১০টি পিয়ার ও ৯টি স্প্যান রয়েছে। ৮৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি চীনা প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। এরমধ্যে ৬৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীন সরকার এবং বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের। গত ৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

বিদেশ বিভুঁই। ছবিনামা-১
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর