Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আগস্টে রফতানি আয় ৪৩ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৩৮

ঢাকা: বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও সদ্য শেষ হওয়া আগস্টে রফতানি থেকে বাংলাদেশ আয় করেছে ৪৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪৩ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯৫ টাকা ধরে)। এই আয় গেল অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি।

এদিকে, চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৮৫৯ কোটি ১৮ লাখ ডলারের পণ্য। এই আয় গেল অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি ও লক্ষ্যমাত্রার চয়ে সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে আগস্ট মাসে ৩৩৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়। সে হিসেবে এ বছরের আগস্টে ১২২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য বেশি রফতানি হয়েছে। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি ছিল। অর্থাৎ, পরপর ২ মাসেই রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস শেষে দেশের রফতানি আয়ে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। দুই মাস মিলিয়ে মোট রফতানি হয়েছে ৮৫৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।

তথ্যমতে, দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক খাতে প্রথম দুই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ শতাংশ। জুলাই ও আগস্টে তৈরি পোশাক থেকে রফতানি হয়েছে ৭১১ কোটি ২৬ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের দুই মাসে এই আয় ছিল ৫৬৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও পোশাক রফতানি বেড়েছে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। প্রথম দুই মাসে নিটওয়্যারে প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ, ওভেনে ৩২ শতাংশ ও হোম টেক্সটাইলে ৫৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এদিকে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে কৃষিপণ্য রফতানিতে ১৪ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশ। পাটজাতীয় পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ২২ শতাংশ।

এ বিষয়ে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘আগস্টে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এটি গেল অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি। তবে বৈশ্বিক সংকট এরইমধ্যে রফতানিকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পশ্চিমের বাজারে ভোক্তা চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে এবং এটি রফতানি দৃশ্যে প্রতিফলিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের আগস্টে পোশাক রফতানি হয়েছে ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অথচ এই বছরের জুনেই এটি ৪.১ বিলিয়ন ডলার ছিল। জুন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত পোশাক রফতানি কমছে। জুলাই আগস্ট দুই মাসেই রফতানি কমেছে। অতিরিক্ত খরচের কারণে কিছু প্রধান ব্র্যান্ড সম্প্রতি তাদের অর্ডার ধরে রাখছে বলে সামনে রফতানি আরও কমতে পারে। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক হয়ে কাজ করছি।’

প্রসঙ্গত, দেশের রফতানি আয়ের প্রধান উৎস পোশাক খাত। গেল কয়েক মাস ধরেই পোশাকের অর্ডার (ক্রয়াদেশ) কমে আসছে। উদ্যোক্তারা এটি নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে আসছেন। তাদের ভাষায়, গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে যে রফতানি আয় হয়েছে এগুলো পুরাতন অর্ডার। ফলে রফতানি আয়ে সেটি সেভাবে প্রভাব ফেলেনি। তবে গেল কয়েক মাস ধরে ক্রয়াদেশ কমায় সামনের দিনে রফতানি আয়ে আরও নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই/পিটিএম

রফতানি আয়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর