Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ, ফসলের ন্যায্য মূল্য চান কৃষকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:২৮

কৃষক জমিনি রায়, ছবি: সারাবাংলা

ঠাকুরগাঁও: সার ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশের উত্তর অঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। বাড়তি খরচের চাপ সামলাতে কৃষকের চোখে-মুখে যেন বিষণ্নতার ছাপ ফুটে উঠেছে। আর উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হলে চাষাবাদে আগ্রহ হারানোর শঙ্কা রয়েছে। তাই ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবি কৃষকদের। তবে উৎপাদনে খরচ কমাতে সৌর বিদ্যুৎ ও ভূগর্ভের উপরিভাগের পানির ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪০ হেক্টর। যা লক্ষমাত্রার ৯৬ ভাগ।

কৃষক জামিনি রায় বলেন, ‘কৃষকের মাঠে মরা (মৃত্যু) ছাড়া কোনো উপায় নেই। সারের দাম বেমি, তেলের দাম বেশি, কৃষি কাজ বাদ দিতে হবে। এ কথাগুলো কাকে বলব, কার কাছে যাব? সরকার যদি ধানের দাম বাড়ায় দেয় তাহলে কৃষকরা বাঁচবে। তাই সরকারের প্রতি সারের দাম কমানোর জোর দাবি জানাই।’

আরেক কৃষক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি বর্ষায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শ্যালো মেশিন ও বিদ্যুৎ চালিত পাম্প দিয়ে চাষাবাদ করতে হচ্ছে। সূর্যের খরতাপ আর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ক্ষেত-খামারে পানি ধরে রাখাই যেন দুরূহ হয়ে পড়েছে। তাই বাড়তি সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদন করতে হচ্ছে। সার ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ধাক্কাটা বেশি পেতে হয়েছে।’

কৃষক মোতালেব হোসেন বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমে ধান উৎপাদনে খরচ গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি। তাই উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম না পেলে আগামীতে চাষাবাদে আগ্রহ হারাতে হবে।’

কৃষক দুলাল ইসলাম বলেন, ‘ফসল উৎপাদনের খরচের সঙ্গে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করলে আগামীতে চাষাবাদে উৎসাহ পাবে কৃষক। এটি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু হোসেন বলেন, ‘সারসহ চাষাবাদের সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তাই সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে সেচ ও ভূগর্ভের উপরিভাগের পানির ব্যবহার এবং সুষম সারের ব্যবহার করলে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

ঠাকুরগাঁও

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর