সরকার চায় একটি মানুষও যেন খাদ্যের কষ্ট না করে: কৃষিমন্ত্রী
৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৪২
ঢাকা: দেশের একটি মানুষও যাতে খাদ্যের কষ্ট না করে, সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংকটের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি তাদের ১৭তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হচ্ছে, ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল, ওএমএসে ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এতে চালসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম কমা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, সীমিত আয়ের শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট কিছুটা কমছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১-০৬ সালে বিএনপির সময় দেশের উত্তরাঞ্চলে আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রতিদিন ২/৫ জন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আর আওয়ামী লীগের আমলে গত ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। দেশে এখনও ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। এ সব মানুষের অনেকের এখনও খাদ্যের কষ্ট আছে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবারটুকু এখনো তারা পাচ্ছে না। এছাড়া, সীমিত আয় দিয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারও তারা কিনতে পারে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সাধ্যমত চেষ্টা করছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মিজানুল হক কাজল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। দুই দিনব্যাপী সেমিনারে সারমর্ম উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মিহির কুমার রায় ও অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম