লিখিত দিয়েছেন অন্য কেউ, মৌখিকে মূল পরীক্ষার্থী ধরা
৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:১৬
সাভার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি জালিয়াতির দায়ে মিনহাজুল আবেদীন আল-আমিন নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর হয়ে কেউ একজন লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা পড়েন মিনহাজুল।
ভর্তি পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকারকারী মিনহাজুল মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তির জন্য মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন। কিন্তু হাতের লেখা না মেলায় এ সময় ধরা পরে যান তিনি। জানা গেছে, তিন লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি পরীক্ষার্থী দিয়ে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছিলেন মিনহাজুল।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তির সময় তার লেখা ও স্বাক্ষর মিল না পাওয়ায় সন্দেহের ভিত্তিতে আটক করা হয় মিনহাজুলকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।
নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘তার হাতের লেখায় মিল না থাকায় আইন অনুষদের সভাপতি তাকে আটক করেন এবং নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করেন। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অস্বীকার করলেও পরবর্তী সময়ে অন্যের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তার ফোনে প্রক্সির ব্যাপারে যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে। তার বাবার সাথে কথা বলেও প্রক্সি ও তিন লাখ টাকার বিষয়টির নিশ্চিয়তা পাওয়া গিয়েছে। তাকে ভর্তি জালিয়াতির প্রচলিত মামলায় আশুলিয়া থানায় পাঠানো হবে।’
প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করে আল-আমিন বলেন, ‘ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র শাহিনুর নামের আমার আপন ছোট মামা ও বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা আমার বড় মামা প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এর বিনিময়ে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষা কে দিয়েছে সেটা জানি না। বার বার হাতের লেখা চর্চার পর ভাইভায় অংশ নিয়েছিলাম।’
তিনি আরও জানান, আল হেরা একাডেমি থেকে এসএসসি এবং ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। মানবিক বিভাগ থেকে উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
সারাবাংলা/পিটিএম