Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সলিমপুরে ‘দখলদারদের’ সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:০৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে দখলদারদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অভিযানে যাওয়া জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর দখলদারদের হামলার পর এ সংঘাত শুরু হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সলিমপুরের বায়েজিদ লিংক রোডের দুইপাশের ফুটপাত ধরে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউসন কোম্পানির পাইপ লাইনের ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা এবং ফুটপাত ও পাইপলাইন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের একপর্যায়ে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চলমান অবস্থায় আলীনগরে যাওয়ার পর পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা আমাদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।’

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘চারটি পৃথক টিমের মধ্যে তিনটি টিমের ওপর হামলা হয়েছে। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করি। আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’

দখলদারদের হামলায় জেলা প্রশাসনের চারজন কর্মচারী, চারজন পুলিশ এবং একজন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেজারত ডেপুটি কালেকটর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষের পর গুরুতর আহত এক যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মো. আলী রাজা হাসান সাগর (২৪) নামের ওই যুবক একজন রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান।

জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সীতাকুণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ৫টি মৌজায় প্রায় ৩১০০ একর সরকারি খাসজমি আছে। ‘চট্টগ্রাম মহানগর ছিন্নমূল বস্তিবাসী সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন সেই খাসজমি দখল করে প্রায় তিন দশক ধরে সেখানে পাহাড় কেটে ও জঙ্গল সাফ করে প্লট বিক্রি করে আসছিল। নিম্ন আয়ের লোকজন সেই প্লট কিনে সেখানে বসতি ও দোকানপাট গড়ে তোলে, যার মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাও আছে। জেলা প্রশাসন বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও সেখান থেকে তাদের সরাতে পারেনি। সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী ওই এলাকায় প্রায় ১৯ হাজার মানুষ বসবাস করে।

বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সলিমপুর থেকে অবৈধ বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে সরকারী খাসজমিগুলো উদ্ধার করে সেখানে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন। জুলাই মাস থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

মহাপরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১২ সেপ্টেম্বর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এতে সভাপতিত্ব করবেন।

সারাবাংলা/আরডি/একে

চট্টগ্রাম সলিমপুর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর