Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কী পেল বাংলাদেশ— জানালেন তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৪৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের কী পেল তার বর্ণনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ‘সফল ভারত সফর’ উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়েজিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যসহ বিনাশুল্কে পণ্য রফতানির সুযোগ পাওয়া। বাংলাদেশের হাজার পণ্যের মধ্যে মাদকসহ মাত্র বিশটি পণ্য ছাড়া ভারত বাংলাদেশকে বাকি সব পণ্যে ট্যারিফ সুবিধা দিয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যসহ বিনাশুল্কে পণ্য রফতানি করার সুযোগ, যার জন্য বহু বছর ধরে বাংলাদেশ চেষ্টা করে এসেছে। বাংলাদেশের হাজার পণ্যের মধ্যে মাদকসহ মাত্র বিশটি পণ্য ছাড়া ভারত আমাদের বাকি সব পণ্যে ট্যারিফ সুবিধা দিয়েছে, যেটি বিএনপি আদায় করতে পারেনি।’

‘খালেদা জিয়া তো ভারতে গিয়ে আমাদের গঙ্গার পানি হিস্যার কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেটিও আদায় করেছেন শেখ হাসিনা। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমাদের সরকারই ভারতের কাছ থেকে সমস্ত কিছু আদায় করেছে। ১৯৭৪ সালে ছিটমহল চুক্তি হয়েছে। সেই ছিটমহলে আমাদের অধিকার চার দশকে কেউ আদায় করতে পারেনি। ছিটমহলের বাসিন্দারা কোন দেশের নাগরিক সেটি বলতে পারত না। শেখ হাসিনার সরকার ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এনেছে। ন্যায্যতার ভিত্তিতে যে সম্পর্ক সেটির বড় প্রমাণ হচ্ছে, আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের সাথে মামলা করে সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি।’

বিজ্ঞাপন

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। এর প্রমাণ হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য বিনাশুল্কে রফতানির সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সফল ভারত সফর করে বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ এই ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নানা কথা বলেছে, এখন নিশ্চয়ই চুপসে গেছে। কিন্তু এরপরও বিএনপির ফখরুল সাহেবেরা আজকালের মধ্যে কিছু একটা বলবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত চমৎকার ফলপ্রসূ হয়েছে।’

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে সাংবাদিকদের একটি আশা-ভরসার স্থল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একজন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে এককালীন তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। একজন সাংবাদিক অসুস্থ হলে তাকে পঞ্চাশ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালে ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকার চার হাজার সাংবাদিককে সহায়তা দিয়েছে। কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণের ক্ষেত্রে আমরা কখনো কে কোন দল বা মতের সেটি দেখি না। আমি দল করি, আমি দলীয় সরকারের মন্ত্রী, কিন্তু যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি তখন সবাইকে দুই চোখে সমভাবে দেখার চেষ্টা করি, রাষ্ট্রের সাহায্য যেন সবাই পায়। যারা প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে কালকেই সরকার নামিয়ে দেয়, আমাদের বিরুদ্ধে গলা ফাটায়, তাদেরও আমরা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করেছি।’

ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রত্যেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান থেকে যেন সাংবাদিকদের জন্য গ্রুপ বীমার ব্যবস্থা করা হয় সেই অনুরোধ করেছেন তথ্যমন্ত্রী।

এসময় চট্টগ্রামের ৩৬ জন সাংবাদিকের হাতে ৩৪ লাখ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।

সিইউজের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক সবুর শুভর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

সারাবাংলা/আরডি/একে

তথ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর