‘স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনে ছাড় নয়’
৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:২৪
ঢাকা: অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিতে অধিদফতর সবসময় সক্রিয়। এ লক্ষ্যে চলমান অভিযান ও হাসপাতালে নিবন্ধন নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিবন্ধন নিশ্চিতে কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কালোকে কালো, সাদাকে সাদাই বলতে হবে। এছাড়া হাসপাতালের অনুমোদন নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ডে নিবন্ধন নম্বর ও মেয়াদ উল্লেখ করা থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিতে অধিদফতর সবসময় সক্রিয়।’
‘নিবন্ধিত ক্লিনিকগুলোকে নিবন্ধন নম্বর ও মেয়াদসহ সাইনবোর্ড লাগাতে বলা হয়েছে। এতে অনিবন্ধিত হাসপাতাল শনাক্ত করা সহজ হবে। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই’— যোগ করেন ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, ‘অনিবন্ধিত হাসপাতালের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে। এ ধরনের অভিযানে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। তবে মনে রাখতে হবে, নিবন্ধন মানেই সবকিছু নয়। হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কর্মীদের বেতন, রোগীর সেবা, চিকিৎসক-নার্সদের সুযোগ-সুবিধা ঠিক থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের নিবন্ধনই সব কিছু নয়, আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো ঠিক আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সহজে নিবন্ধন নিশ্চিতে কাজ করছে অধিদফতর।’ বেসরকারি হাসপাতালের নিবন্ধনের মেয়াদ এক বছর থেকে দুই বছর করা হবে বলে জানান অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
অধ্যাপক ডা. কবির বলেন, ‘ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থার তুলনায় বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা খারাপ- এমন সংবাদ পরিবেশন না করাই ভালো।’ দেশে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘হার্ট, কিডনিসহ বেশকিছু অসুখের ভালো চিকিৎসা দেশে হয়। তবে কেউ বিদেশে চিকিৎসা নিতে চাইলে সেটা যার যার ব্যক্তিগত অভিরুচি। চিকিৎসার বিষয়ে যে নেতিবাচক ধারণা আছে তা দূর করতে হবে। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানেই আমার-আপনার বাবা-মা, স্ত্রী সন্তানরা চিকিৎসা নেবে।’
নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অনলাইনে নিবন্ধনের ব্যবস্থা জোরদার করবো। এক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহায়তা করা হচ্ছে। লাইসেন্স নবায়ন করার ক্ষেত্রেও আমরা সহযোগিতা করব। নিবন্ধন করতে কোনোরকম বিড়ম্বনার স্বীকার হলে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা নিবন্ধনের বিষয়ে আপসহীন। যারা নিবন্ধিত তারাই আমাদের সদস্য হতে পারবে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোর মানের দিকেও নজর দেবো। মান ভালো না থাকলে আমরা সদস্য করব না।’ পাশাপাশি তারা সেবার মানের ওপর ভিত্তি করে হাসপাতালগুলোর ক্যাটাগরি করার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম