নবম পে-স্কেল ঘোষণাসহ সরকারি কর্মচারীদের ৭ দফা দাবি
১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:০০
ঢাকা: বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল ঘোষণা, ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা, টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, সচিবালয়ের মতো পদ-পদবি এবং অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ’ নামে এক সংগঠনের সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, ‘২০১৫ সালে ঘোষিত ৮ম পে-স্কেল ইতমধ্যে ৭ বছর পূর্ণ করেছে। সব সময়ই সরকার কোন পে-স্কেল ৪ বছর পূর্ণ হলেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া শুরু করে। এখন পর্যন্ত তাও দিচ্ছে না। ৮ম পে-স্কেল ঘোষণার সময় স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের কথা ছিলো। তাও অদ্যাবধি বাস্তবায়ন হয়নি এবং বাজার প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতনও বাড়ানো হয়নি। বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ৫ শতাংশই বহাল আছে। বর্তমান মাসিক বেতন-ভাতা দিয়ে কোনো কর্মচারী ১০ দিনের বেশি চলতে পারে না। তাই পে-কমিশন গঠন করে ৮ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করার ও পে স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘১৯৯৫ সালে সচিবালয়ে উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারী শাখা সহকারী ও বাজেট পরীক্ষকদের পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁট লিপিকারদের পদবি ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করে সচিবালয় ও সচিবালয়ের বাইরে কর্মচারীদের মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে।’
এসময় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার কর্মচারীদের মধ্যে পদবি বৈষম্য সৃষ্টি করায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সভাপতি নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া মিলন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল, আনিছুর রহমান, মামুন, জিয়াউল হকসহ অনেকে।
সারাবাংলা/এআই/এমও