ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা চতুর্থ সপ্তাহের মতো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দিয়ে শেষ হয়েছে লেনদেন। গত সপ্তাহজুড়ে (৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৯ হাজার ৯১ কোটি ২২ লাখ টাকা। এসময় ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে (২৮ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর) মোট লেনদেন হয় ৯ হাজার ৫১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ওই সময়ে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯০২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৮৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিনই ঊর্ধ্বমুখীতার মাধ্যমে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে বেড়েছে সবকয়টি মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার। টানা চার সপ্তাহের এই ঊর্ধ্বমুখীতার কারণে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৯ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে সপ্তাহজুড়ে বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ৭৭৯ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ৫ লাখ ২২ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। ফলে গত সপ্তাহে লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৭৭৯ কোটি টাকা। এর আগের তিন সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১৮ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। এ হিসাবে চার সপ্তাহের টানা সূচকের ঊর্ধ্বমুখীতে বাজার মূলধন বাড়লো ১৯ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহে সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়ছে ৫১.৪১ পয়েন্ট। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ৭০.৫২ পয়েন্ট। এছাড়াও ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৩২.০৬ পয়েন্ট।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৫টির এবং ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৬৩ কোটি ২০ লাখ ১ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৭.২৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৯৫ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। ৩৬৫ কোটি ১৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ইস্টার্ন হাউজিং, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ন্যাশনাল পলিমার এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।