পোশাক খাতের ব্রান্ডিংয়ে নভেম্বরে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’
১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:২৫
ঢাকা: দেশের পোশাক খাতকে বহির্বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে আগামী ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এটির উদ্বোধনের কথা রয়েছে। পোশাক খাত নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ ধরনের আয়োজন এবারই প্রথম। এই আয়োজনে আইএমএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন, ঢাকা অ্যাপারেল সামিট, বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর মতো অনুষ্ঠান রয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ’র নতুন ভবন বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। এসময় বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম, পরিচালক সেহেরিন সালাম ঐশীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ফারুক হাসান জানান, আমরা ৭ দিনব্যাপী ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’র আয়োজন করতে যাচ্ছে। পোশাক শিল্পকে নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ ধরনের আয়োজন এবারই প্রথম। এর মাধ্যমে আমরা শিল্পকে ব্র্যান্ডিং করার পাশাপাশি করোনা মহামারি থেকে যে আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, টেকসই শিল্পকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, সেই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করব। এটি শুধুমাত্র পোশাক শিল্পের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ হবে না, বরং দেশ হিসেবেও আমাদের অর্জনগুলো তুলে ধরতে পারব।
তিনি জানান, আগামী ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, বাংলাদেশের পোশাক, ৩৭তম আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। টেক্সটাইল এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য পণ্যগুলো একই ছাদের নিচে প্রদর্শনীর জন্য ৩দিন ব্যাপী ঢাকা অ্যাপারেল এক্সপো’র আয়োজন করা হচ্ছে, যা ১৪-১৬ নভেম্বর ৩নং হলে অনুষ্ঠিত হবে। এটি বৈশ্বিক ক্রেতা ও তাদের প্রতিনিধিদের একই ছাদের নিচে প্রতিযোগিতামূলক সোর্সিং অফারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরি পণ্য ও পরিষেবা বিষয়ে ধারণা গ্রহণের সুযোগ করে দেবে। এছাড়া দেশের ডেনিম খাতের অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরতে আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর ডেনিম এক্সপো অনুষ্টিত হবে। একই দিনে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা এর হল-২’তে সাসটেইনেবল ডিজাইন অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও জানান, পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক দিকগুলো বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করা, পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়নের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের বৈশ্বিক ধারণার পরিবর্তন করা এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের কাছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে টেকসই ও ইনোভেটিভ শিল্প হিসেবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস