পুলিশের এডিসি হারুনের শাস্তি চান আন্দোলনকারীরা
১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:০৭
ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুনের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন সংক্ষুব্ধরা।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানান শতাধিক শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে গতকালের হামলার জন্য পুলিশের এডিসি হারুনের শাস্তির দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ এর মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) শাহবাগের জনসমাবেশে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে পাঁচশ ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়। সমাবেশের একপর্যায়ে ছাত্র-জনতা শাহবাগের সড়কে অবস্থান নেয়। এরপর সেখানে পুলিশের এডিসি হারুনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়। ওই হামলায় পুরুষ পুলিশ সদস্য দ্বারা নারীরা আক্রান্ত হন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও বলা হয়, রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেন এডিসি হারুন অতীতের ন্যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়লেন? এ বিষয়ে ওপর মহল থেকে তিনি কি নির্দেশনাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন?
কোনো বিধি বা আইন মোতাবেক পুরুষ পুলিশ সদস্য নারী শিক্ষার্থীদের ওপর রাজপথে প্রকাশ্য নির্যাতন করেন? এটি কি নারী নির্যাতন নয়। নারীদের গায়ে পুরুষ পুলিশের হাত তোলা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়। নারীর প্রতি অবমাননা করা নয়। এটি নারী অধিকারেও লঙ্ঘন নয়। এ বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে গতকাল পুলিশ সদস্য দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান তারা।
এতে নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে বক্তব্য দেন ইমতিয়াজ হোসেন, সাজিদ সেতু, সোনিয়া চৌধুরী, সানিয়া সুমি, তোজাম্মেল মিয়াজি, মুক্তা সুলতানা, তাসলিমা লিমা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়টি বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখের পরেও সরকার শিক্ষার্থীদের এই দাবি নিয়মিত উপেক্ষা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্ৰী ব্যতিত, সকল উচ্চপর্যায়ের নেতাদের কাছে করুণভাবে দাবি জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গত তিনমাসে অন্তত ৫ (পাঁচ) বার দেখা করার অনুমতি চেয়ে ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে। এরপরেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমাদের দাবি মানা না হলে আগামীতে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে