জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের ৭ সুপারিশ
১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৪৫
ঢাকা: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় সাতটি সুপারিশ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া সংস্থাটি বলেছে, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং টেকসই পরিবেশের জন্য উপকূল এলাকায় জলবায়ু সহনশীল বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা জলবায়ু ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশকে উন্নয়ন অর্জন ধরে রাখতে হবে। তবে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনে বিশ্বে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা রেখেছে। উপকূল সহনশীলতায় সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগের জন্য পরিচিত হয়েছে। বাংলাদেশ দেখিয়েছে যে, দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কীভাবে জীবন রক্ষা করে, অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কমায় এবং উন্নয়ন অর্জন রক্ষা করে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ এনহান্সিং কোস্টাল রেজিলিয়েন্স ইন এ চেঞ্জিং ক্লাইমেট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে দেওয়া সুপারিশগুলো হলো- অবকাঠামোর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ জোরদার করা। এক্ষেত্রে স্থানীয় অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি এবং অত্যাধুনিক মডেলিং টুলসের ব্যবহার করা। এছাড়া পরিবর্তনশীল জলবায়ু এবং উপকূলে গতিশীল প্রক্রিয়ার কথা বিবেচনা করে অভিযোজনযোগ্য ডেল্টা বা বদ্বীপ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো ব্যবহার করা উচিত। অবকাঠামো বিনিয়োগ হওয়া উচিত প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের পরিপূরক হিসেবে। টেকসই সহিষ্ণুতার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক কমিউনিটি অংশীদারিত্ব এবং জীবিকার অভিযোজন থেকে উপকূলীয় এলাকা উপকৃত হতে পারে। একটি সমন্বিত কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যার কেন্দ্রে থাকবে ঝুঁকি প্রশমন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, সমৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কাট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে গত ৫০ বছর ধরে জলবায়ু সহনশীলতা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যাবপনার উন্নতিতে সহায়তা করছে। এখন বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলার প্রতি এবং জলবায়ু সহনশীলতার উন্নতিতে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। যা অন্যান্য জলবায়ু-ঝুঁকি গ্রস্ত দেশের জন্য অনুপ্রেরণা।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি কৌশলগত নীতি কাঠামোর আওতায় মাঠ পর্যায়ে অভিযোজন এবং কমিউনিটিভিত্তিক পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান এবং উদ্ভাবনে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে অবকাঠামো বিনিয়োগে নানা উদ্যোগের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। স্বাাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ঘুর্ণিঝড়ে প্রাণহানি একশ গুণ কমিয়েছে। তবে দ্রত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, পরিবেশগত অবনতি এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকি উপকূলীয় অঞ্চলের বিদ্যমান প্রাকৃতিক ও অবকাঠামো ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। যেখানে প্রায় চার কোটি মানুষ বাস করে।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম