১৭১টি সবুজ কারখানা নিয়ে শীর্ষে এখনও বাংলাদেশ
১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৫৫
ঢাকা: সবুজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) তালিকায় দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। নতুন করে তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও তিনটি কারখানা। এ নিয়ে বাংলাদেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা হলো ১৭১টি। এছাড়া গ্রিন ফ্যাক্টরির তকমা পেতে প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরও ৫৫০টির বেশি কারখানা। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সার্টিফিকেশন দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, বাংলাদেশে এখন গ্রিন ফ্যাক্টরি ১৭১টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৫৩টি, গোল্ড ১০৪টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি। এছাড়া ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে।
নতুন করে গ্রিন ফ্যাক্টরির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে নরসিংদীর শারাফ অ্যাপারেলস ওয়াশিং অ্যান্ড ডায়িং, আশুলিয়ার দেবনাইর লিমিটেড অ্যান্ড অরবিটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ অ্যাপারেলস।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রিন ফ্যাক্টরিতে বাংলাদেশ শীর্ষে। এই তালিকায় নতুন করে তিনটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এক সময় মালিকরা চিন্তা করতেন এত টাকা খরচ করে কেন এলইইডি (লিড) সার্টিফিকেট নেব? এতে খরচ বেশি। কিন্তু সাসটেইনেবল হতে গেলে এর বিকল্প নেই। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা ও প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে লিড সার্টিফিকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইরের ক্রেতারা জানতে চায়, তাদের কাপড়টি কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে তৈরি হয়েছে, কোন পরিবেশে তৈরি হয়েছে, ক্ষতিকর কেমিক্যাল আছে কি নাই। এক্ষেত্রে লিড সার্টিফিকেটের বিকল্প নেই। এটি দেশের পোশাক খাতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।’
উল্লেখ্য, সবুজ কারখানার তালিকায় বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম