কিশোরগঞ্জে ভাঙনের মুখে কোটি টাকার ব্রিজ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:০২
নীলফামারী: জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের সারোভাষা ঘাটে চাঁড়ালকাঁটা নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভাঙনের মুখোমুখি। অব্যাহত নদী ভাঙনের কারণে এ হুমকি দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ব্রিজটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড বা কিশোরগঞ্জ এলজিইডি দফতর।
এদিকে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটির পুর্ব প্রান্তের এবাটমেন্ট বেসসহ অ্যাপ্রোচ সড়কটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। উপজেলা এলজিইডি দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁড়ালকাঁটা নদীর উপর ১৪০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি বর্ষায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রিজটির পুর্বদিকে অ্যাপ্রোচ সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সড়কটি দেবে গেছে। এছাড়া ব্রিজের নিচের দিকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত মাটি সরে গিয়ে ব্রিজের এবাটমেন্ট বেড়িয়ে গেছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু বলেন, ‘চাঁড়ালকাঁটা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এবং নদীর স্রোত বেশি হওয়ায় সারোভাষা ব্রিজটি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ভাঙনের কবল থেকে ব্রিজটি রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘চাঁড়ালকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ব্রিজের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে অ্যাপ্রোচ সড়কটি দেবে গিয়েছিল। আমরা দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়কটির দেবে যাওয়া অংশে মাটি ভরাট করে সড়কটি সংস্কার করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে যেভাবে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে তাতে করে নদীর দুই দিকে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।’
এ বিষয়ে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘ব্রিজ নির্মাণ করেছে এলজিইডি। ব্রিজ রক্ষার দায়িত্বও তাদের। আমি বিষয়টি এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবহিত করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই আলম সিদ্দিকীর বলেন, ‘আমি ব্রিজটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ব্রিজটি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এটি দ্রুত মেরামত করা না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই ব্রিজটিকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য এলজিইডি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।’
সারাবাংলা/এনএস