উচ্ছেদের দিনই ফের দখল গুলিস্তানের ফুটপাত
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৫৭
ঢাকা: রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ও সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) শেখ ফজলে নুর তাপস মেয়র হওয়ার পর প্রথমবারের মতো গুলিস্তানে ফুটপাতে হকারমুক্ত করতে অভিযান চালান। এদিন ফুলবাড়িয়া থেকে হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশে অভিযান চালানো হয়।
এরপর মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে গোলাপশাহ মার্কেটের আশেপাশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। তাতেই পুরো গুলিস্তানের চিত্র পাল্টে যায়। জরিমানা ও আর দোকানের সরঞ্জামাদি হারানোর ভয়ে সব হকার তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যায়। এতে নিমিষেই যেন পুরো এলাকার সড়ক ফাঁকা হয়ে যায়। যানজট দূরের কথা একটি গাড়িও আর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি।
তবে এ চিত্র বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে হকারদের একটি বিক্ষোভ মিছিল গুলিস্তানে আসলে সব পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এ সময় ডিএসসিসির ম্যাজিস্ট্রেট পীর ইয়ামীনি মার্কেটের সামনের ফুটপাতে উচ্ছেদ চালাচ্ছিলেন। বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয় গুলিস্তানের হকাররাও। এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করে। পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখে অভিযান চালানো টিম গুলিস্তান থেকে চলে যায়।
এর আগে, রোববার ও সোমবার বিকেলে হকাররা ফুটপাতে দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা করে। অর্থাৎ তারা দুপুর পর্যন্ত না বসলেও নিজ নিজ জায়গায় দোকানপাট বসায়।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে গুলিস্তানের বিভিন্ন সড়কের ফুটপাত ফের দখল হয়ে যায়। দোকান বসতে শুরু করে। আবার সেই আটকে যায় গাড়ি। শুরু হয় যানজট। হকাররা আগের মতোই ফুটপাত দখল করে ব্যবসা শুরু করে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, কোথাও পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করাটা আমরা নেব না। এসব অভিযান বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা জলি তালুকদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পুনর্বাসন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমরা চাই সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হোক। অন্যথায় গায়ের জোরে ফুটপাত থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হলে আমরা প্রতিরোধ করব।’
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাসিম কবির বলেন, ‘আমরা শুনেছি হকারদের জন্য মেয়র সাহেব একটি মার্কেট করছেন। উনি বলেছেন ওখানে নাকি হকারদের জায়গা দেওয়া হবে। এটি শুধু আশ্বাস। আমরা আশ্বাসের বাস্তবায়ন চাই।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সড়ক ও ফুটপাত লাল, হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে চিহ্নিত করছে। লাল চিহ্নিত সড়ক ও ফুটপাতে কখনো হকার বসতে পারবে না। পাশাপাশি হলুদ শ্রেণি চিহ্নিত সড়ক ও ফুটপাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত সময়ে এবং নির্দিষ্ট স্থানে হকার বসতে পারবে। আর সবুজ চিহ্নিত সড়ক ও ফুটপাতে পথচারী বা যানচলাচলে বিঘ্ন না ঘটিয়ে হকার বসতে পারবে।
সারাবাংলা/ইউজে/একে