মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গাপূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৪১
নারায়ণগঞ্জ: দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় দুর্গোৎসব হবে ৪৯টি মণ্ডপে। এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির পালা। আর তাই চলছে তুলির আঁচড়ের কারুকাজ। একটু একটু করে বর্ণিল সাজে সাজছেন মা দুর্গা। উৎসবের মর্ম প্রতিমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টায় কারিগররা। অতি ভালোবাসায় তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি। এ সময় দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
ব্যস্ত সময় পার করছে পূজা উদ্যাপন কমিটি। তোরণ নির্মাণ ও মণ্ডপকে নানা রঙে সাজাতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে, পূজা চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে পূজামণ্ডপগুলোতে আনসার ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মণ্ডপসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন প্রায় শেষের দিকে। দেবীদুর্গা আসবেন ঘোড়ায় চড়ে। ফিরবেন ঘোড়ায়। ঢাক, ঢোল, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি দিয়ে দেবীদুর্গাকে বরণ করে নেওয়ার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা।
প্রতিমা তৈরীর কারিগর তপন কুমার জানালেন, খড় আর কাঁদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন রঙ আর তুলির আঁচড় দিয়ে দুর্গাকে সাজানো হবে। এদিকে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়ছে প্রতি বছরই। কিন্তু উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এ শিল্পী।
রূপগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গণেশ চন্দ্র পাল ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিলা রানী পাল জানান, পূজায় সর্বস্তরের মানুষের সমাগম ঘটবে। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও এতে অন্য ধর্মের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তাই সবার কথা মাথায় রেখে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তারা জানান, এ বছর উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে করতে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলোর তালিকা করে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুর্গাপূজাকে ঘিরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) এবং তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজীর সহযোগিতা পাওয়ায় এবারও ভালভাবে পূজা উদযাপনের আয়োজন করা যাবে বলেও উল্লেখ করেন গণেশ চন্দ্র পাল ও শিলা রানী পাল। এজন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং মেয়রকে ধন্যবাদ জানান তারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলায় দুর্গাপূজার মণ্ডপগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। এছাড়াও মণ্ডপগুলোতে বাড়তি নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতাও থাকবে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুর্গাৎসব পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাৎসব ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জন মধ্য দিয়ে পূজা সমাপ্তি হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ