ঢাকা: এশিয়া, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং টেকসই উন্নয়নে আঞ্চলিক নেতাদের এক সঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে আমরা এই অঞ্চলের সবাইকে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যকার সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশিদের সঙ্গে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু সব কিছুই আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারি।’
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভুয়সী প্রশংসা করেন ভারতীয় হাইকমিশনার ।
বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জানান, তার দেশ মনে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন হয়েছে এবং অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে এবং তার নেতৃত্বে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে। হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছেছে সেখান থেকে পরবর্তী জেনারেশন এর বেনিফিট পাবে।’
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী প্রধানমন্ত্রী, সরকার এবং দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।’ নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সুস্বাস্থ্য ও উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যেকার ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ভারতের উন্নয়নে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল ও ফলপ্রসু হয়েছে মন্তব্য করে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ভারতে দীর্ঘদিন নির্বাসনের কথা স্মৃতিচারণ করেন শেখ হাসিনা। সাক্ষাৎকালে ভারতের বিদায়ী হাই কমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি ছবি উপহার দেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বই ও নৌকার একটি রেপ্লিকা উপহার দেন।