মুন্সীগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় ১১ জন গ্রেফতার
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:১০
মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর পৃথক ৩ ডাকাতির ঘটনায় ১১ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ২ টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন।
প্রেস রিলিজে বলা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধার সময়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরডুমুরিয়া বাজারের তৃষ্ণা জুয়েলার্সের মালিক প্রবীর পাল তার দোকান হতে বাড়ি ফেরার পথে সদর চরকেওয়ার ইউপির ভিটি হোগলা গ্রামের স্টিল ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ৫ জন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তার মোটরসাইকেল, ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় প্রবীর পাল গত ৯ সেপ্টেম্বর সদর থানায় মামলা দায়ের করে।
তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় ঘটনায় জড়িত ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার খলিলুর রহমান, চাদঁপুর জেলার মোহাম্মদ আলী ও মো. আনোয়ার হোসেন এবং মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের শামীম বেপারীকে আটক করে পুলিশ।
লুট হওয়ার স্বর্ণ কেনায় কিশোরগঞ্জ জেলার সবিরঞ্জন নিশি ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মিঠুন কর্মকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেলসহ ৫ ভরি স্বর্ণালংঙ্কার উদ্ধার করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ২টি, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ৫টি, শামীম বেপারীর বিরুদ্ধে ১টি এবং আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
এদিকে, গত ২৯ জুন সদর থানার রামপাল ইউনিয়নের মিল্কিপাড়া এলাকায় মা জুয়ের্লাসের মালিক পলাশ বাড়ৈ এর কাছ থেকে ১০ ভরি স্বর্ণলংঙ্কার ও ৩ লাখ টাকা পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনায় আটক খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী ও মো. আনোয়ার হোসেন ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় তাদের স্বীকারোক্তিমতে, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা থেকে জড়িত জুবায়ের আলম মহসিন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনায় চোরাই স্বর্ণ ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকায় মানিকগঞ্জের নিরঞ্জন হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জুবায়ের আলমের বিরুদ্ধে ৯ টি মামলা রয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিয়ে জানানো হয়।
অপরদিকে, গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলার শ্রীনগর উপজেলার কেয়াটখালী সংলগ্ন ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে সার্ভিস রোডে ডাকাতির ঘটনায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে বরিশাল জেলার ডাকাত কালাম বেপারী @ কসাই কালাম ও মো. রফিক এবং ঝালকাঠি জেলার মো. রফিকুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। রফিকের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলায় ২টি, কালাম বেপারী @ কসাই কালাম এর বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপস্) মো. আদিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইয়াসিনা ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুন্সীগঞ্জ সার্কেল) মো. মিনহাজ-উল-ইসলাম, ওসি (ডিবি) আবুল কালাম আজাদ, সদর থানার (ওসি) তারিকুজ্জামান সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/একে