আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের মালামাল, ঠিকাদারকে অব্যাহতি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:০১
নোয়াখালী: সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের ইট, বালুসহ যাবতীয় মালামাল ব্যবহারের অভিযোগ ওঠেছে।
নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে টনক নড়ে প্রশাসনের। গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চর দরবেশ গ্রামের ওই আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ঘর নির্মাণে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামাল ফেরতসহ সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে অব্যাহতি দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের চর দরবেশ গ্রামে ২ একর ৪৬ শতাংশ সরকারি খাস জমিতে প্রতিটি ঘরের সামনে ১০ ফুট, পাশে ৬ ফুট ও পেছনে ৮ ফুট জায়গা রেখে ৮০টি ঘর নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা।
গত আগস্ট মাসে সরকারি ওই খাস জমি মাটি ভরাট শেষে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঘরগুলো নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয় হাজী নিজাম উদ্দিন নামের এক ঠিকাদারকে। ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ওই ৮০টি ঘর নির্মাণের কাজ আমরাই তদারকি করছি। শুধুমাত্র মালামাল সরবরাহ করার জন্য হাজি নিজাম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ার সুযোগে হাজি নিজাম উদ্দিন কথা মতো ভালো মালামাল সরবরাহ না করে নিম্নমানের ইট-বালু সরবরাহ করে কাজ শুরু করেন। বিষয়টি দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গে মালামাল সরবরাহের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের ইট-বালু ব্যবহারের বিষয়টি আমাদের নজরে আসায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তাই নিম্নমানের সব মালামাল ফেরত দেওয়া হয়েছে। মালামাল সরবরাহকারীকেও এই কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এখন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মানসম্মতভাবে আমরা নিজেরাই ঘরগুলো তৈরি করবো।’
সারাবাংলা/এমও