চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে ‘খুন’, গ্রেফতার কিশোর
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিনা টিকিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রেনের ছাদে তিনজনকে তোলে দুই কিশোর। ট্রেন যাত্রা করার পর তিনজনের কাছে টাকা দাবি করে তারা। টাকা দিতে না পারায় দুই কিশোর মিলে তিনজনকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে একজনের মৃত্যু হয় এবং দু’জন গুরুতর জখম হয়। ঘটনার পাঁচদিন পর রেলওয়ে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অভিযান চালিয়ে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী সোনার বাংলা ট্রেনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সাড়ে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতারের তথ্য দিয়েছেন রেলওয়ে পুলিশের চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।
অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় গ্রেফতার কিশোরের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেনি রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে ছাইম, পলাশ ও চাঁদ নামে কিশোর বয়সী তিনজনকে বিনা টিকিটে ঢাকায় নেয়ার জন্য ট্রেনের ছাদে তোলে অপর দুই কিশোর, যাদের মধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছে। রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার লালমাই এলাকায় ট্রেন পৌঁছার পর দুই কিশোর তাদের কাছে টাকা দাবি করে। তিনজন জানায়- তাদের কাছে টাকা নেয়। এ নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে দুই কিশোর ওই তিনজনকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।
রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘তিন কিশোরের মধ্যে ছাইমের লাশ পাওয়া গেছে পরদিন ভোরে কুমিল্লার ফতেহপুর রেললাইনের পাশে। গুরুতর জখম অবস্থায় পলাশ ও চাঁদকে পাওয়া গেছে লাকসাম রেলওয়ে থানার বাগমারা বাজারের পাশে। এ ঘটনায় লাকসাম রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। জড়িত দুই কিশোরকে শনাক্ত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া রেলস্টেশন থেকে আমরা এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছি। তাকে শনিবার বিকেলে শিশু আদালতে উপস্থাপনের মধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
‘ঘটনায় জড়িত অপর কিশোরের বয়স আরও কম। এরা পাঁচজনই ভাসমান, রেলস্টেশনে ঘোরাঘুরি করে, ভবঘুরে প্রকৃতির। ট্রেনের ছাদে ওঠা নিষিদ্ধ। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার পর এরা বিভিন্ন কৌশলে ছাদে উঠে পড়ে। সেখানে বসে মাদক সেবন করে কিংবা অবৈধভাবে ট্রেনে ওঠা অন্য কাউকে পেলে ছিনতাই করে। ঢাকা কিংবা অন্যান্য গন্তব্যে পৌঁছে একইভাবে আবার ট্রেনের ছাদে করে চট্টগ্রামে ফিরে আসে’- বলেন এসপি হাছান চৌধুরী
সারাবাংলা/আরডি/একে