যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাম্পেইন
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:০৬
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি। যারা এখনও প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেয়নি তাদের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও শুরু হচ্ছে বিশেষ টিকাদান ক্যাম্পেইন। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। এ সময়ে প্রথম ডোজে বাদ পড়া ৩৩ লাখ এবং দ্বিতীয় ডোজে বাদ পড়া ৯৪ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখনও যারা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাদের জন্য আরেকটি বিশেষ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করতে যাচ্ছি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ ক্যাম্পেইন শুরু হবে। চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ অবশ্যই নেবেন। দেশে এখনো প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নেয়নি আর দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ।’
তিনি বলেন, ‘৩ অক্টোবরের পর আমরা আর প্রথম ডোজ দিতে পারব না। দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। কারণ, তখন হয়তো আমাদের কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য টিকা থাকবে না। যেগুলো থাকবে, সেগুলোরও মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। যারা এখনো প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার নেননি, তারা দ্রুত নিয়ে নিন। অক্টোবরের পরে থেকে ভ্যাকসিন নাও পেতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রথম ডোজ, ৭১ দশমিক ৩৬ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ ও ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সরকার ইতোমধ্যে শিশুদের উপযোগী প্রায় সাড়ে চার লাখ ডোজ ফাইজার টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত ১০/১২ হাজার লোক আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এর বাইরেও অনেক রোগী হাসপাতালে আসেনি, সব মিলিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, এমএনসিএইচ লাইন ডিরেক্টর ও পরিচালক ডা শামসুল হকসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/একে