সিন্ডিকেট নির্মূলে পোল্ট্রি বোর্ড গঠনের দাবি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:০০
ঢাকা : পোল্ট্রি খাতে সিন্ডিকেট নির্মূলে পোল্ট্রি বোর্ড গঠনসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চার দাম নিয়ন্ত্রনহীন বৃদ্ধি এবং খামারিদের উৎপাদিত ডিম ও মুরগির ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার প্রতিবাদে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার এসব দাবি তুলে ধরেন।
সুমন হাওলাদার বলেন, ‘পোল্ট্রি বোর্ড গঠন করে ডিম ও মুরগীর মূল্য সরকারের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্নভাবে খামারি ও ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খামারী প্রতিনিধি, ফিডমিল প্রতিনিধি, হ্যাচারি মালিক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করে ১৫ দিন বা ১ মাসে পোল্ট্রির বাচ্চা ও সকল উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারন করতে হবে।’
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ঈদ-শবে বরাতসহ বিশেষ ৪৫ দিনে বাচ্চা দিয়ে ৩২৫ কোটি টাকা তুলে নেয় সিন্ডিকেট। গত এক বছরে ফিডের দাম বেড়েছে ১০ বার। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালে জুন সময়ে ৫০ কোজির বস্তায় বেড়েছে ১ হাজার ৪৭ টাকা, প্রতি কেজিতে আড়াই টাকা বেড়েছে গতমাসের ৭ তারিখ থেকে চলতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে। কেজিতে যদি দুই টাকা বাড়িয়েও এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৪০৫ কোটি টাকা কোম্পানিগুলো মুনাফা করেছে। ২০০৯ সালে ১ লাখ ৬০ হাজার খামার ছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ লাখ খামার ছিল। গত ২০২১-২২ সালে ৪০ হাজার খামার বন্ধ হয়ে গেছে।’
সুমন হাওলাদার বলেন, ‘কোন খামারি বাজার মূল্য নির্ধারণ করে না। ঢাকার বাজারের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় আড়ৎদাররা চাহিদার ভিত্তিতে বাজার মূল্য নির্ধারন করে থাকেন। এখানে খামারিদের কোন হাত নেই। বাজার মূল্য নির্ধারনের সময় ডিম-ব্রয়লারের উৎপাদন খরচের প্রতি কোন লক্ষ্য করা হয় না। বাজার মূল্য নির্ধারনের ব্যাপারে বাংলাদেশের কিছু কর্পোরেট ও বিদেশি কিছু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি কমার্শিয়াল ফার্মিংয়ে আসায় বাজারটি তাদের হাতে চলে গেছে। কারণ মোট উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশ তাদের হাতে। তারা চাচ্ছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারীগুলো ঝরে গেলে তারা বাজারটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’
এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারন সম্পাদক মো. ইলিয়াস খন্দকার সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি জানান। তিনি জানান, বছরে বাচ্চার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশের উপরে। আর ফিডের দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশের উপরে। এ সময় তিনি মূল্য বৃদ্ধির জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেন। গত এক বছরে প্রায় ৪০ শতাংশ খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ