Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে বিবাহ, বিপাকে তরুণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:০৯

শিশির ইসলাম

ঢাকা: ঢাকার অদূরে ধামরাই পৌরসভায় গোপনগর লাকুরিয়া পাড়ার আনন্দ দাসের ছেলে শিশির দাস (২২)। গত ১৭ আগস্ট ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে মো. শিশির ইসলাম নাম ধারণ করে একই পৌরসভার গোয়ারীপাড়ার মিলন মিয়ার মেয়েকে বিবাহ করেন। তবে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে বিবাহ করায় এখন বিপাকে পড়েছেন মো. শিশির ইসলাম।

বিবাহের পর গত ২৯ আগস্ট পর্যন্ত স্ত্রীর সঙ্গে অবস্থানের পর গত ৩০ আগস্ট তাকে জোর করে নিয়ে যায় পরিবার। এরপর ১৭ দিন আটক রাখার পর রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাকে ধামরাই আমলি আদালতে স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তরিক করে বিবাহ করার অভিযোগে মামলা করার জন্য নিয়ে আসা হয় আদালতে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদু ইসলামের আদালতে এ মামলা আবেদন করেন। বিচারক বাদীর (শিশির) জবানবন্দি গ্রহণের সময় শিশির বলেন, ‘আমার পরিবার আমাকে জোর করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে নিয়ে এসেছে। আমি আসলে স্বেচ্ছায় বিবাহ করেছি। আমি মামলা করব না। আদালতের বাইরে আমার পরিবারের লোকজন আছে, বের হলেই আমরা আবার নিয়ে আটকে রাখবে।’

তখন বিচারক মামলাটি গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেন এবং বাদী শিশিরকে এজলাসে প্রায় ১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকরা গেলে শিশির আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।

এ বিষয়ে শিশিরের আইনজীবী হুমায়ুন কবির জানান, বিবাহের পর শিশির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার পরিবারের হুমকির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এরপর গত ৩০ আগস্ট তার পরিবারর তাকে জোর করে নিয়ে আটক রাখার পর গত ১৫ আগস্ট শিশিরের শাশুড়ি ধামরাই আমলি আদালতে একটি মামলা করেছেন। যা তদন্তাধীন। কিন্তু ছেলের পরিবারর অর্থিকভাবে ক্ষমতাবান হওয়ায় মেয়ের পরিবার থানা পুলিশের কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না।

বিজ্ঞাপন

শিশিরের শাশুড়ি হেনা আক্তার জানান, ছেলের পরিবারের ভয়ে আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যেকোনো সময় আমাদের বাড়িতে তারা হামলা করতে পারে।

ভুক্তভোগী শিশির জানান, দুই বছর সম্পর্কের পর স্বেচ্ছায় আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। স্বেচ্ছায় বিবাহ করেছি। আমি প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা আমার আছে। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আমার মতো করে বেঁচে থাকতে সহযোগী চাই।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

শিশির ইসলাম শিশির দাস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর