Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: বিচার নিশ্চিতে মামলা তদারকির নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:২৯

ঢাকা: রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে গৃহবধূ তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য মামলাটির নিয়মিত তদারকি করতে সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে মামলার রায় ও আদেশ হওয়ার আগে মামলা চলাকালীন সাক্ষীদের যথারীতি ও যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও তদারকির জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪৩৯ (১) ধারার বিধান মতে এই রুল জারি করা হয়েছে। যা মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১১২নং অনুচ্ছেদের আলোকে এই মামলা চলাকালে সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত তদারকি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি, তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট আদালত, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) পাঠাতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ১ মার্চ গুজব ও গণপিটুনি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে জারি করা এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত বছরের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতায় রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান আদালত। একটি গুজবকে কেন্দ্র করে ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে ওই রিটটি দায়ের করেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।

এরপর রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গণপিটুনিতে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করে পুলিশ।

আদালত মামলার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একইদিন রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব সৃষ্টিকারী রিয়া খাতুনও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামি হৃদয়, রিয়া ও জাফর হোসেন কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে জাফর হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

টপ নিউজ রেনু হত্যা হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর