ধারা মাল্টিপারপাস: ৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার রায় সোমবার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৪৪
ঢাকা: মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জালাল উদ্দিন আহমেদসহ দু’জনের বিরুদ্ধে ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামে ৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার রায় ঘোষণার জন্য সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তারিখ নির্ধারণ রয়েছে। এদিন সকালে ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. বদরুল আলম ভুইয়া এ রায় ঘোষণা করবেন।
মামলার অপর আসামি হলেন- খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সনাতনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসুর রহমান। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মামলাটিতে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যসহ মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
জানা যায়, ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী ও সোসাইটির সহ সভাপতি আলেয়া ফাতেমা, ছেলে ও সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তালহা আহমেদ এবং মেয়ে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাদিয়া আহমেদকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে জালাল উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। আর তদন্তে মাধ্যমে শেখ সামসুর রহমানকে চার্জশিট ভুক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে আদালত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানদের অব্যাহতি দিয়ে মামলাটির বিচার শুরু করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সেনাবাহিনী থেকে ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান জালাল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তী সময়ে তিনি ও তার স্ত্রী আলেয়া ফাতেমা ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যবসা শুরু করেন। এ সময় তিনি গ্রাহকদের আশ্বাস দেন, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুকূলে এফডিআরের মাধ্যমে টাকা রাখলে কেউ কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
তিনি ১ হাজার ৪৪৯ বিনিয়োগকারীর মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা ওই মাল্টিপারপাসের নাম রশিদের মাধ্যমে জমা নেন। কিন্তু ওই সোসাইটির ব্যাংক হিসেবে কোনো অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ের কাছে ওই অর্থপাচার করেন।
মামলার বিচার চলাকালীন ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। আসামিরা শুরু থেকেই পলাতক আছেন। তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম