নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার প্রার্থী
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৫১
রাজশাহী: জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী প্রার্থী। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার নারী প্রার্থী থানায় মামলা করেছেন। মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাগমারা উপজেলার বাহামনিগ্রামের। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- উপজেলার সাইধারা গ্রামের মাহাবুর রহমান (২৮), আকবর হোসেন (৩৫), সোহেল রানা (২৪), দুলাল হোসেন (২৫) ও ফজলুর রহমান (৪৮)। আসামিরা পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
ধর্ষণের বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী প্রার্থী বলেন, ‘বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে গেলে আমাকে একটি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর আমি থানায় ধর্ষণ মামলা করি।’
তিনি বলেন, ‘এরপর ওই দিনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হই। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমি ওসিসিতে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরি। এরপর আবারও আমি নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে শুরু করি। প্রচারণা এখনও অব্যাহত রেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণের পর থেকে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত আছি। কিন্তু মামলার পর শেষ পর্যন্ত আসামিদের গ্রেফতার করায় আমি সন্তুষ্ট। যারা আমার সর্বনাশ করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে তিনি বাগমারা উপজেলায় যান। প্রচারণা শেষ হতে রাত হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে পাঁচ ব্যক্তি তার গতিরোধ করেন। এ সময় তারা অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি চিকিৎসা নেন।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী প্রার্থীর এক আত্মীয় জানান, নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাই তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। ভোটের মাঠ ছাড়ছেন না, তিনি নির্বাচন করবেন। এবং ভালো সাড়াও পাচ্ছেন।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত শুক্রবার বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছে। ভুক্তভোগী নারী ওসিসিতে ভর্তি ছিলেন। এই ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানানো যাবে।
সারাবাংলা/পিটিএম