পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের অবরোধে অচল চবি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করার দাবিতে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। কর্মচারী ও শিক্ষকদের বহনকারী বাসও শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারেনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগের ক্লাস, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়। চট্টগ্রাম শহর থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেনও ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ছাত্রলীগের ৬টি গ্রুপ অবরোধে অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়। ৬টি গ্রুপ হলো- ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, এপিটাফ, রেড সিগন্যাল, কনকর্ড ও উল্কা। এসব গ্রুপগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
অবরোধে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘যোগ্য সিনিয়র কর্মীদের মধ্যে অনেকে পদ পায়নি। এর আগে তারা মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করে দাবি জানানো হয়। কিন্তু তাদের দাবি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক যারা বাদ পড়েছে তাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু ১৫-২০ দিন পর ঢাকা থেকে ফিরে ষড়যন্ত্রমূলক হল কমিটি ও ফ্যাকাল্টি কমিটি করার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। যারা সিনিয়র তারা এসব কমিটিতে পদ নেবে না। এই পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে অবরোধ করেছে। দাবি না মানলে অবরোধ চলমান থাকবে।’
ষোলশহর রেলস্টেশনের মাস্টার এস এম ফখরুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধের কারণে শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেন আপাতত স্টেশনে বন্ধ রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতরের প্রশাসক এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সকালে কয়েকজন যুবক এসে পরিবহন দফতরের ফটকে তালা দিয়েছে। ফলে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বহনকারী বাস শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘যে কারণে অবরোধ করছে এটা তাদের সাংগঠনিক বিষয়। সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে পারে। অবরোধের কারণে কয়েকটি বিভাগ ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করছে।’
সারাবাংলা/সিসি/এমও