Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ‘ঘোড়াও হাসবে’: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৪০

ঢাকা: বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেওয়া বক্তব্যে ‘ঘোড়াও হাসবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) খিলগাঁওয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি এবং ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন হত্যা ও পল্লবীসহ সারাদেশে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর জোন-২ খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা বিএনপি এ সমাবেশ আয়োজন করে।

এর আগে, সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে বিবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়।’

এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বরেন, ‘আপনার এই কথা শুনে ‘ঘোড়াও হাসবে’। সারা দেশে একটাই শ্লোগান উঠবে- শেখ হাসিনা ভুয়া।’

‘আসলে শেখ হাসিনা নাই। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে গেছেন। আজকে কথা নয়, সময় হচ্ছে কাজের। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এই সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে, তারা আমাদের সমস্ত অর্জন ধবংস করে দিয়েছে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আজকে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করছে, লাখ লাখ টাকা পাচার করছে, বিদেশে ঘরবাড়ি তৈরি করছে। আর আমাদের মানুষকে হত্যা করছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সেলিমা রহমানকে আঘাত করে, বরকত উল্লাহ বুলুকে হত্যার জন্য আঘাত করে, তাবিথ আউয়ালকে হত্যার জন্য আঘাত করে, ভোলায় নূরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়নগঞ্জে শাওন প্রধানকে হত্যা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। এবারও জেগে উঠবে।’

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকলের গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন করতে হবে। নতুন পার্লামেন্ট হওয়ার পর সরকার গঠন হবে।’

সভা-সমাবেশে প্রশাসন অনুমতি দিতে গড়িমসি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই দেশ কারও বাবার রাজত্ব নয়। এই দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আমি তাদেরকে পরিস্কার করে বলতে চাই, এই সরকারই শেষ সরকার নয়। এরপরও সরকার কিন্তু থাকবে। আপনাদের ছবিও প্রিন্ট করা আছে, ভিডিও করা আছে, রেকর্ড করা আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি এই কয়েক দিনে কর্মীদের যে অটুট মনোবল দেখেছি আমার ভালো লেগেছে। আমরা জানি, এখন থেকে যদি আমাদের ওপরে কখনো আক্রমণ হয় তাহলে আমাদের কর্মীরা প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা এখন থেকে হামলা হলে প্রতিরোধ করব। আমরা এই এলাকা থেকে সন্ত্রাস অপসারণের আন্দোলন শুরু করব- এই হোক আজকের শপথ।’

মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, মোশাররফ হোসেন খোকন, লিটন মাহমুদ, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসকে জিলানী, রাজীব আহসান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার প্রমুখ।

সারাবাংলা/ এজেড/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর