Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুক্তিযোদ্ধা সনদ-ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নামে হাতিয়েছে ১৭ লাখ টাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মার্কিন প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ-ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চট্টগ্রামে তার প্রতিবেশি দুই ব্যক্তি। যারা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। দেশে ফিরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, জাল নথিপত্র দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ওই মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করে নগরীর সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) সরাসরি এজাহার হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম চৌধুরী নগরীর সদরঘাট থানার কদমতলী এলাকার বাসিন্দা। ২০০৫ সালে তিনি আমেরিকায় চলে যান।

আসামিরা হলেন- একই এলাকার বাসিন্দা হারুন হায়দার (৬৫) ও ইমরান হায়দার (৪৮)।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, শাহ আলম চৌধুরী ১৯৭১ সালে সেক্টর কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের অধীনে সীতাকুণ্ডে যুদ্ধ করেছিলেন। তবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেননি। ২০১৯ সালে ইমরান হায়দার তাকে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কল করে জানান, জীবিত-মৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করেছে সরকার, সেখানে শাহ আলমের নাম আছে। টাকা দিলে ইমরান মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিতে পারবে বলে জানান।

শাহ আলম রাজি হলে ইমরান ও তার বাবা দফায় দফায় টাকা নিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন, রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের প্রত্যয়নপত্র এবং মুক্তিযোদ্ধা নিবাসের বরাদ্দপত্র ও কল্যাণ ট্রাস্টের প্রত্যয়ন পত্র দেখায়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের ভাতা বাবদ চেকের কপিও দেখায় তাকে। এতে শাহ আলমের মনে বিশ্বাস তৈরি হলে আরও কয়েক দফা টাকা নেয় বাবা-ছেলে। তিন বছরে তার কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকারও বেশি আদায় করেছে বলে অভিযোগ করেন শাহ আলম।

বিজ্ঞাপন

মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি শাহ আলম দেশে ফিরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে নথিপত্রগুলো নিয়ে যান। সেগুলো দেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নথিপত্রগুলো জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনে এসে যোগাযোগের পরও জানতে পারেন, নথিগুলো মিথ্যা, জাল ও বানোয়াট।

এরপর শাহ আলম ইমরান ও হারুনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ৩২৩, ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭১ এবং ৫০৬(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আদালত ২০০ ধারায় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য সদরঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

১১ কোটি ১৭ লাখ ভাতা মুক্তিযোদ্ধা সনদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর