Monday 21 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টানা দ্বিতীয় দিনের অনশনে অসুস্থ ঢাবি শিক্ষার্থী হাসনাত 

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৫২

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও হয়রানি বন্ধের দাবিসহ মোট ৮ দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ। টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।

চিকিৎসক বলছেন, কোনো ধরনের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না হাসনাতের। ফলে স্যালাইন দেওয়াও এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-এর সামনে অনশন শুরু করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের এই শিক্ষার্থী গত ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে আট দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেসময় তিনি উপাচার্যকে স্মারকলিপি এবং দাবি পূরণে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।

দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। উপাচার্যের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস না পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এদিকে, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-এর সামনে গিয়ে দেখা যায়—অনশনরত হাসনাত আব্দুল্লাহ অচেতন হয়ে পড়েছেন। হাসনাতের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোনো ধরনের ওষুধ নিতেও রাজি হচ্ছেন না হাসনাত।

সকাল ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. হাফেজা জামান হাসনাতকে দেখে বলেন, ‘এভাবে তো ওকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। প্রায় ১ দিন হয়ে গেছে সে ফাস্ট (উপবাস) করছে। ডাক্তাররা এসে দেখেছে ওর প্রেশার স্বাভাবিকের চাইতে হাই। সে কোনো রেসপন্স করছে না, কথা বলছে না। এই অবস্থায় তাকে স্যালাইন দেওয়ার সাহসও করা যাচ্ছে না। ওকে খুব দ্রুতই কোনো মেডিকেলে ভর্তি হতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

হাসনাত আব্দুল্লাহর অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত দুইশ শিক্ষার্থী। সকাল ১১টায় রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-এর সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা গণ-অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তারা বলেন, সমস্যার সমাধানে যদি উদ্যোগ নেওয়া না হয় তবে আমরা গণ অনশনে যাব। যদি হাসনাত আব্দুল্লাহর কিছু হয় তবে তার দায়ভার উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।

সারাবাংলা/আরআইআর/আইই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কঠিন চীবর দান: উৎসবের মহাজাগরণ
২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৩০

সম্পর্কিত খবর