কুষ্টিয়ায় ভ্যানচালক হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৩৯
ঢাকা: কুষ্টিয়ার ভ্যানচালক আবু বক্কর সিদ্দিক হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে অপর এক আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ । পলাতক এক আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান খান।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত জানান, ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া সার্বিক বিবেচনা এবং সাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনায় নিয়ে কালাই ওরফে জলিলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখি ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আবু বক্কর সিদ্দিক ২০১২ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় বাড়িতে ভ্যানগাড়ি রেখে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। রাত ১০টার দিকে আসামিরা আবু বক্করকে ডেকে পাশের মাঠে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পুরুষাঙ্গ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরদিন সকালে জোতপাড়া কাঞ্চিখালি মাঠ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রেজা আলমগীর হাসান ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- সাজ্জাদ, মাজেদ, শুকচাদ, রাশিদুল ইসলাম, কালাই ও মনছের আলী। তাদের মধ্যে আসামি রাশিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ