Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজধানীর ২৭টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:১০

ঢাকা: রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, ডিএনসিসি’র ৪০ ওয়ার্ডে ৪৮টি সাইট এবং ডিএসসিসি’র ৫৮টি ওয়ার্ডে ৬২টি সাইটসহ মোট ১১০টি সাইটে ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে সার্ভে পরিচালনা করা হয়েছে। ২১টি টিমের মাধ্যমে ১০ দিনব্যাপী এই স্টাডি পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রতিটি টিম অন্তত ১৫টি সাইট সার্ভে করে।

৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে পরিচালিত এই সার্ভেতে ২ হাজার ৮২৯টি বাড়িতেই নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে, আর ১৫৯টি বাড়িতে ডেঙ্গু ফলাফল পজেটিভ এসেছে। পজেটিভ আসা বাড়িগুলোর মধ্যে ৬৩টি বাড়ি ডিএনসিসিতে এবং ৯৬টি বাড়ি ডিএসসিসিতে অবস্থিত। শতাংশ বিবেচনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে এ লার্ভা পাওয়া যায়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে দেখা যায় ১০ শতাংশ বাড়িতেই এই লার্ভা পাওয়া গেছে।

গত ১১ থেকে ২৩ আগস্ট দুই করপোরেশনে এই জরিপ হয়েছে। জরিপকারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬২টি ওয়ার্ডে মোট ১ হাজার ৮৩০টি বাড়ি পরীক্ষা করেছেন। এসব বাড়িতে তারা মোট ১ হাজার ৩৩৭টি ভেজা পাত্র দেখেছিলেন, প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে মশার লার্ভা পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রায় ২২ শতাংশ ভেজা পাত্রে মশার লার্ভা ছিল। মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ড (কমলাপুর ও মতিঝিল), ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড (নবাবপুর ও বংশাল) এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে (ওয়ারী ও নারিন্দা)।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। অধিকাংশ রোগী ভর্তির প্রয়োজন না হলেও অনেকে হচ্ছেন। কিন্তু পুরো কাজের জন্য জনবল ও অর্থ লাগে। কোভিডকালীন যেসব রোগীকে আমরা সেবা দিতে পারিনি, তারা এখন বেশি আসছেন। ফলে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়াটা অনেক চ্যালেঞ্জের। কোভিড এখনও শেষ হয়নি। এখন আবার ডেঙ্গু। আমরা সীমিত জনবল দিয়ে চেষ্টা করছি। সচেতনতাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ডিএনসিসি এলাকার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ১, ১১, ১৪, ১৬, ১৯, ২০, ২১, ২৪, ২৮, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৯ নম্বর এবং ডিএসসিসি এলাকার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ৩৪, ৩৮, ৩৯, ৪১, ৪২, ৪৮, ৫১ নম্বর ওয়ার্ড।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের পরিচালক ডা. রোবেদ আমিন প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

২৭টি ওয়ার্ড এডিস মশা টপ নিউজ ডেঙ্গু রাজধানী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর