ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়: সচিব
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:১৬
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেছেন, ঢাকায় প্রচুর মানুষ ডাব খেয়ে থাকে, এগুলো অনেক সময় পরিষ্কার করা হয় না। এতে এডিস মশার প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাজ নয়, আমরা স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকি।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সচিব।
আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘দেশে এখনো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নিয়মিত বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে, ফলে এডিস মশার জন্ম হয়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন, নিজ বাসাতেই মশার উৎপাদন না হয়।’
তিনি বলেন, ‘ডাম্পিং স্টেশনগুলোতে নজর দিতে হবে। ২০১৯ সালে যে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা বলার মতো নয়। সিটি করপোরেশনকে অনেক দৌড়াতে হয়েছে। এ জন্য আমাদের নিজেদের সচেতনতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলোর বাগানের ছাদে যাতে পানি না জমে, কমিউনিটির সেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘হয়ত সবসময় হয় সবকিছু হয় না, কিন্তু চেষ্টা করা হয়। তবে সবাইকে (ডেঙ্গু) প্রতিরোধের কাজটা করতে হবে। এ জন্য আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। প্রথম দিকে যদি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে চিকিৎসা দেওয়া অনেক সহজ হয়।’
এদিন সংবাদ সম্মেলনে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ডিএনসিসি এলাকার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ১, ১১, ১৪, ১৬, ১৯, ২০, ২১, ২৪, ২৮, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৯ নম্বর এবং ডিএসসিসি এলাকার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ৩৪, ৩৮, ৩৯, ৪১, ৪২, ৪৮, ৫১ নম্বর ওয়ার্ড।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের পরিচালক ডা. রোবেদ আমিনসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/একে