Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যুদ্ধ’ জয় করে হিমালয়সম উচ্চতায় ব-দ্বীপে ফিরল মেয়েরা

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:৩৭

ঢাকা: তাদের কেউই সচ্ছল পরিবারের নয়, উঠে আসা একদম প্রান্তিক পরিবার থেকে। ছিল না তিন বেলা ভাতের নিশ্চয়তা। তার ওপর মেয়ে হয়েও ফুটবল খেলতে চাওয়া ছিল যেন পাপ সমতুল্য। তবু যখন মাঠের ফুটবল থেকে দমানো যায়নি, তখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সহ্য করতে হয়েছে টিটকিরি-টিপ্পনির বাণ। খেলতে গিয়েও মেলেনি সর্বাত্মক সহযোগিতা, সীমাবদ্ধতা ছিল পৃষ্ঠপোষকতায়। কিন্তু মনোবল হারাননি তাদের কেউ। খেলার মাঠে প্রতিপক্ষ আর মাঠের বাইরে হাজারও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে তাদের লড়াইটা ছিল যুদ্ধের সমান।

বিজ্ঞাপন

নিজেদের প্রমাণ করার পাশাপাশি দেশমাতৃকাকে কিছু অর্জন উপহার দেওয়া ছিল এই যুদ্ধের মূলমন্ত্র। একাগ্র সাধনায় যেকোনো যুদ্ধই অজেয় নয়, সেটিই প্রমাণ করেছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। তাদের হাত ধরেই প্রথমবারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি এখন বাংলাদেশের। ২০০৩ সালের পর যে ট্রফি পুরুষ দলও জিতে আনতে পারেনি একবারও।

গত সোমবার নেপালের কাঠমান্ডু দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সাফ ফাইনালে স্বাগতিকদের ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাবিনা, কৃষ্ণা, রুপনারা এনে দিয়েছেন যুদ্ধজয়ের স্বাদ। সেই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটেই উঠে এসেছে নারী এই ফুটবল দলের একেকজন সদস্যের জীবন সংগ্রামের গল্পও। তারা যে অবস্থান থেকে উঠে আজকের এই শিরোপা মঞ্চে এসেছেন, তা যেন রূপকথার মতো।

এমন বিজয়ী বীরদেরও তাই বরণ করে নিতে কুণ্ঠাবোধ করেনি জাতি। বিমানবন্দরে নামার পর ছাদখোলা বাসে রাজধানী প্রদক্ষিণ করে যখন পৌঁছেছেন বাফুফে ভবনে। রাস্তার দুই পাশে হাজারও জনতা তাদের কুর্নিশ জানিয়েছেন। স্যালুট জানিয়েছেন ফুটবল মাঠের পাশাপাশি জীবনযুদ্ধে জয়ী এই যোদ্ধাদের।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকার আশেপাশের সড়কে শিরোপা জয়ী দলের খেলোয়াড়দের বরণের অপেক্ষায় ছিলেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষেরা। ভক্তদের মাঝে কেউ সেলফি তুলে, কেউবা পতাকা উঁচু করে ধরে আকাশের উড়িয়ে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করছিলেন। ছাদখোলা বাসের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা ছিল দিনের প্রথমভাগে সবার আকর্ষণ। বিভিন্ন এলাকার ক্লাবের ব্যানারে, এলাকার নাম লেখা ব্যানারও নিয়ে আসেন। জয় বাংলা, বাংলাদেশ-বাংলাদেশসহ নানা স্লোগানে মুখরিত পুরো এলাকা।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ফুটবল দলের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন— এমন সংবাদ শুনেই উল্লাসের মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায় সবার মাঝে। আর সেই উল্লাস ও স্লোগানের টানে গাড়িতে বসে থাকা মানুষরাও সামনে এগিয়ে এসে শামসুন্নাহার-রুপনাদের একনজর দেখার আশায় অপেক্ষায় থাকা শুরু করে।

ঘড়ির কাঁটায় যখন ৩টা ৩২মিনিট ঠিক তখনই চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে ছাদখোলা বাসের শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। রাস্তার দুই ধারে থাকা ভক্তদের কেউ ছুটছেন একট সেলফি তোলার আশা আবার কেউ দাঁড়িয়ে পতাকা উঁচু করে সম্মান জানাচ্ছেন। নিরাশ করেননি ছাদখোলা ‘চ্যাম্পিয়ন’ বাসের সামনে থাকা সাবিনারাও। ট্রফি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবিনা। তার পাশে থাকা সতীর্থরা ভক্তদের শুভেচ্ছার জবাব দিচ্ছেন দেশের পতাকা নাড়িয়ে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জানিয়ে ট্রাফিক বিভাগ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল চ্যাম্পিয়নদের বাফুফে ভবন যাওয়ার রুট পরিকল্পনা। সেই রুটেই অপেক্ষমাণ ছিল ভক্তরা।

চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে ছাদখোলা বাস যখন বিমানবন্দর এলাকা ছাড়ে তার একটু পরেই কাওলা ওভার ব্রিজে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায় দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও তার মেয়ে সায়রাকে। তার একটু পরেই খিলখেতের রাস্তায় দেখা যায় অগণিত ভক্তের ভিড়। ছয় বছরের সন্তান আদিয়াতকে নিয়ে তার বাবা মো. আবীর আসেন চ্যাম্পিয়নদের শুভেচ্ছা জানাতে। তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি আসলে বলে বোঝানো যাবে না। আমাদের বীরকন্যাদের অভিনন্দন এমন একটা উপলক্ষ এনে দেওয়ার জন্য।’

ঠিক তার একটু পরেই সহকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা যায় বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া নাগরিক টেলিভিশনের চীফ রিপোর্টার শাহনাজ শারমিনকে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আজকে কেমন লাগছে সেটা শব্দের গাঁথুনি দিয়ে বোঝানো সম্ভব না। যে বাধা পার হয়ে আমাদের এই বীর কন্যারা আজকের এই অবস্থায় এসেছে সেটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র তাদের লড়াকু মনোভাবের কারণে। তারা সবাই কিন্তু জীবনযুদ্ধ করেই আজকের এই সম্মান অর্জন করেছে। এমন কোনো বিষয় না যে তাদের জন্য সবকিছু প্রস্তুত ছিল এতটুকু আসার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘তাদের এক ধরনের জীবনযুদ্ধ ছিল অর্থনৈতিক, যেখানে দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেই টিকতে হয়েছে। এরপর তাকে লড়াই করতে হয়েছে সামাজিক প্রতিকূলতার সঙ্গে। তারা যে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এই লড়াই করেছে সেটার ফলাফল দেখিয়েছে মাঠেই। বিজয়ী হয়েই তারা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, কোনো বাধাই আসলে তাদের দমাতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামাজিক নানা প্রেক্ষাপটে আমরা যখন নারীদের দেখি নিগৃহীত হতে তখন নানা রকমের মিছিল-মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানাই। এসব কিছু না করে শুধুমাত্র কাজ দিয়েই যে সব বাধাকে জয় করা যায় সেটা এই মেয়েরা প্রমাণ করে দিয়েছে। তাও মাঠের লড়াইয়ে জয়ী হয়ে যেখানে নামার আগে তাকে শত প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয়। আমি আজ সেই বীরদের জন্য দাঁড়িয়েছি, যারা আমাদের ভাবনার জগতের নতুন একটা দুয়ার খুলে দিল।’

‘আরেকটি বিষয় হলো এই ছাদখোলা বাস যার উপরে খোলা আকাশ। তারা কিন্তু এই খোলা আকাশের নিচেই কোনো একটা মাঠে খেলতে চেয়েছিল, যেখানে তাদের বার বার বাধা দিয়ে ঘরবন্দি করতে চেয়েছিল সবাই। আজ ওরা ছাদখোলা বাসের ওপরে দাঁড়িয়ে নিজেদের অর্জনকে উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছে। তাদের কৃতিত্ব দিয়েই তারা এই সম্মান অর্জন করেছে। তাদের যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু সাহায্য যদি সরকার তাদের করে থাকে তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এমন ছাদখোলা বাসে বিজয়ীর বেশে তাদের অভিনন্দন জানানোর আনন্দের উপলক্ষ আমরা ভবিষ্যতে আরও পাব’ — যোগ করেন শাহনাজ শারমিন।

চ্যাম্পিয়নদের ছাদখোলা বাস বনানী ওভারব্রিজ পেরিয়ে মাছরাঙা টেলিভিশনের কর্মীদের দেখা যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে সানজিদাদের অভিনন্দন জানাতে। এদিন শিরোপা জয়ী বাংলাদেশের মেয়েদের স্বাগত জানাতে বনানী কাকলী ওভারব্রিজের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আজ খুব ভালো লাগছে। বিশেষত মেয়েদের জন্য। আজ অপেক্ষা করতেও ক্লান্তিবোধ হচ্ছে না।’

তেঁজগাও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করছিলেন এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান প্রভাষ আমিন। এ সময় সাংবাদিক মুন্নী সাহাসহ আরও অনেককে দেখা যায় সেখানে পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করতে। প্রভাষ আমিন বলেন, ‘শিরোপা জয়ের পরে এমন ছাদখোলা বাসে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তাদের এই অভিনন্দন প্রাপ্যই ছিল। সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এক রাতেই এমন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারায়। এটা এক ধরনের অর্জন, যা আমাদের মেয়েরা নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে আদায় করে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই শিরোপা জয়ী দলের প্রতিটা মেয়ের আলাদা আলাদাভাবে করা সংগ্রামের গল্প আছে। যা হয়তো সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে দেবে। তাদের আসলে হারানোর কিছুই ছিল না। তারা মাঠে হয়তোবা প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলেছে নেপালের বিপক্ষে কিন্তু মাঠের বাইরেও তাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে শুরু করে পুরুষতন্ত্র, দারিদ্রতা, অবহেলা, অবজ্ঞাসহ অদৃশ্য নানা শক্তির বিপক্ষে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি তারা যখন মাঠে নামে তখন প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপালের বাইরেও অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হয়েছে। সানজিদার ফেসবুক পোস্টেও কিন্তু তেমনটাই ইঙ্গিত ছিল। তারা সত্যিকার অর্থেই যোদ্ধার মতোই মাঠে নেমেছিল। দেশের জন্য তাদের যে আকুতি ও নিবেদন তা আমাদের সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’

প্রভাষ আমিন বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট দলের আইসিসি ট্রফি বিজয় দেখেছি খুব কাছ থেকেই। মাঠের সাংবাদিক হিসেবে আরও অনেক গৌরবময় মুহূর্ত দেখেছি। আজকেও তার ব্যতিক্রম দেখিনি। আমরা যখন এদিকে ৩টার দিকে আসি তখন শুধুমাত্র আমরাই ছিলাম। চ্যাম্পিয়নদের বাস যখন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এদিকটা পার হয় তখন দেখি হাজার হাজার মানুষ শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে। এ এক অন্যরকম অনুভূতি।’

তিনি বলেন, ‘আজ বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত লাখো মানুষের উপস্থিতি ছিল চ্যাম্পিয়নদের স্বাগত জানাতে। এরা কেউ কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের হয়ে আসেনি। সবাই এসেছে দেশের জন্য কৃতিত্ব বয়ে আনা বীর কন্যাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানাতে।’

খানিকটা সামনেই সহকর্মীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সংবাদকর্মী মাহমুদুল হাসান পারভেজ। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ জয়ের পরে সেনারা ফিরে আসার আগে সবাই যেভাবে অপেক্ষা করে ঠিক তেমনটা লাগছিল। আসলে বলে বোঝাতে পারবো না কেমন ভালো লাগা কাজ করছিল। রাস্তায় যখন জ্যামে আটকে ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল এমন উপলক্ষে যদি বার বার জ্যামে অপেক্ষা করতে হয় তবে তা যেন বেশি বেশি আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সানজিদা বলেছিল শত টিপ্পনি ও বাধা অতিক্রম করার কথা। সেই টিপ্পনি, বাধার ভয়ে তারা থেমে যাননি। সেটাকে জয় করেই তারা এগিয়ে গেছেন। আর তাদের দেখেই তৈরি হবে সানজিদা, কৃষ্ণা, রুপনাদের মতো আরও অনেক অনেক বীর কন্যা। তারাই অনুপ্রাণিত করবে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে। এই সম্মান তাদের প্রাপ্য। আর সেজন্য এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পেরেও ভালো লাগছে।’

রাস্তার দুই পাশেই তখনও চলছিল স্লোগান। ‘জয় জয় হলো জয়, বাঘিনীদের হলো জয়’, ‘বাঘিনীদের গর্জন শিরোপা অর্জন’— এমন স্লোগানে মুখরিত প্রায় সব রাস্তা।

তবে নানা কারণে যারা রাস্তায় নেমে শুভেচ্ছা জানাতে পারেননি তাদের মাঝেও উচ্ছ্বাসের কোনো কমতি ছিল না।

একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক স্মৃতি মন্ডল বলেন, ‘মনের ভেতর থেকে যে আনন্দটা আসে সেটা অনেক দিন পাইনি। কিন্তু আজ কেমন যেনো সেটাই অনুভব করছিলাম। আজকে বারবার মনে হচ্ছিল, ইশস— এই অ্যাসাইনমেন্ট যদি কাভার করতে যেতে পারতাম। আমরা নিউজরুমে সবাই আক্ষেপ করছিলাম যে আমাদের অফিসের সামনে দিয়ে গেলে রাস্তায় নেমে বা ছাদ থেকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করতে পারতাম। সেটা যখন হয়নি। তখন অফিসেই সবাই টিভি সেটের সামনে বীর কন্যাদের স্বাগত জানানোর দৃশ্য দেখেছি।’

সানজিদা-স্বপ্নারা আগেও জিতেছিলেন বয়সভিত্তিক ফুটবলের শিরোপা। দেশে ও দেশের বাইরে সেসব ট্রফি নিয়ে খুব একটা বেশি আলোচনা না হলেও এবারের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়ার তকমার পাশাপাশি ফুটবলারদের পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে তুমুল আলোচনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে চায়ের দোকানের আড্ডায়ও।

আর তাই এবারের আনন্দ আগের সবকিছুকেই ছাপিয়ে গেছে। দেশের জন্য সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়ে খেলা মেয়েদের জন্য সরকার ও বাফুফে সর্বোচ্চ সম্মান জানাবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

হিমালয়ের দেশ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দলের স্বীকৃতি হিসেবে শিরোপা হায়ে নিয়ে দেশে ফিরেছে বীর কন্যারা। ফুলেল শুভেচ্ছায় তাদের বরণের অপেক্ষায় থাকা কারো মাঝেই ছিল না কোনো ক্লান্তি। অপেক্ষার কোনো আক্ষেপও আজ কারোর মাঝেই ছিল না। কারণ বীর কন্যারা মাঠের খেলার পাশাপাশি জীবনযুদ্ধের লড়াইয়েও আজ বিজয়ী। আর তাই আজ দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন দেশের নাম বাংলাদেশ।

ছবি: হাবিবুর রহমান, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

ছাদখোলা ফুটবল বাফুফে যুদ্ধ জয় সংবর্ধনা সাফ জয়ী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর