পরপুরুষ দেখবে বলে ঘরেই চিকিৎসা, অবশেষে মেয়ের মৃত্যু
২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:২৩
হবিগঞ্জ : পরপুরুষ দেখে ফেলবে বলে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে ঘরে অবরুদ্ধ রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় মাধবপুরের ফাহমিদা (১৮) নামে এক কিশোরীকে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাসা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা ফাহমিদার।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সামান্য জ্বরের অজুহাতে ১৮ বছরের ফাহমিদাকে বিনা চিকিৎসায় একটি কক্ষের ভেতর অনাহারে-অর্ধাহারে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া যায় তার পিতা আলী আকবর ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। পরে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার শাহজিবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোয়ার্টার গোমতি বিল্ডিংয়ে স্টাফ আকবরের বাসার একটি কক্ষ থেকে ফাহমিদাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে গত পাঁচ মাস ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
ফাহমিদার বাবা আলী আকবর জানান, মেয়েকে পরপুরুষ দেখে ফেলবে এই জন্য চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে ঘরে রেখে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, ফাহমিদার বাবা আলী আকবর একাধিক বিয়ে করেছে এবং সৎ মা ছিলেন পুরোপুরি উদাসীন। কোন খবরই নিতেন না ফাহমিদার। মাধবপুর থানার ওসি এই অমানবিকতার খবর পেয়ে মাধবপুর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা সুলতানাসহ ওই বাসায় উপস্থিত হন। তারা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ফাহমিদাক উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য এবুল্যান্সে করে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
মাধবপুর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাবরীনা সুলতানা জানান, সেবা-যত্ন না থাকায় ফাহমিদার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সারাবাংলা/ইআ