চুয়াডাঙ্গায় শেষ মুহূর্তে প্রতিমায় রঙ তুলির ছোঁয়া
২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৩৩
চুয়াডাঙ্গা: হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। বাঙালি হিন্দু সমাজের অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে জোরেসোরে চলছে শেষ মুহূর্তে প্রতিমায় রঙ তুলির ছোঁয়া।
আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজা। ৫ অক্টোবর দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এ বছর দেবী দূর্গা গজে আগমন করে নৌকায় স্বামীগৃহে গমন করবেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১২৩টি মন্ডপে দূর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩টি , আলমডাঙ্গায় ৪২টি, দামুড়হুদায় ১৪টি, দর্শনায় ১৮টি ও জীবননগরে ২৬টি।
সরে জমিনে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকার মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজার সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, দৌলাৎদিয়াড় বারোয়ারী দূর্গা মন্দির, দাস পাড়া দূর্গা মন্দির, শহরের মালো পাড়া দূর্গা মন্দির, বেলগাছী দূর্গা মন্দির, আলুকদিয়া দূর্গা মন্দিরসহ প্রায় সব মন্দিরেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রঙ তুলির ছোঁয়ায় প্রতিমার আকর্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন মন্ডপ তৈরিতে অঘোষিত প্রতিযোগিতায় নেমেছে অনেকে। এ ছাড়া প্রতিবারের মত এ বছর বিশেষ আর্কষণ জেলার পৌর এলাকার দাস পাড়া মহিলা সংঘের দুর্গোৎসব।
প্রতিমা তৈরি শিল্পী রতন কুমার জানান, প্রতিমা তৈরি করা অনেক কষ্টের। আগের মত এখন আর লাভ হয় না। তারপরও করতে হয়। দুই-একদিনের মধ্যেই দুর্গা প্রতিমাগুলোর রঙ ও সাজ-সজ্জার কাজ শেষ হবে। প্রতিমা তৈরির মজুরি সাইজ ও ধরণ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।
জেলার বড় বাজার সার্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিংকর কুমার দে জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে প্রশাসনের পাশাপাশি মন্ডপের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে দায়িত্ব পালন করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, ইতোমধ্যেই পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া সাদা পোশাকে ডিবি, ডিএসবি মাঠে কাজ করবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপ নিজস্ব সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও মহাষষ্ঠী বিহিত পূজা ও সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস, ২ অক্টোবর মহাসপ্তমী বিহিত পূজা, দেবীর নব পত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তমাদি কল্পারম্ভ ও মহাসপ্তমী বিহিত পূজা। ৩ অক্টোবর সোমবার মহাষ্টমী, কুমারী ও সন্ধিপূজা, ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার মহানবমী ও ৫ অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমী বিহিত পূজার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।
সারাবাংলা/ইআ