Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘হামলাকারীদের জনগণ চিহ্নিত করে রাখছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:১৫

ঢাকা: বিএনপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের জনগণ চিহ্নিত করে রাখছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, ভোলায় নূরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়নগঞ্জে শাওন প্রধান এবং পল্লবীসহ সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জোন ৭ (যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা) বিএনপি।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে, বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর অনেক হামলা হয়েছে, বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দমাতে পারেননি। আমরা বলতে চাই, এতো কিছুর পরও যদি আপনারা বিএনপিকে এখন পর্যন্ত দুর্বল করতে না পেরে থাকেন, আর চেষ্টা কইরেন না।’

‘আমি বলতে চাই, এভাবে হামলা করে আপনারা জনগণের কাছে চিহ্নিত হচ্ছেন। জনগণ আপনাদেরকে চিহ্নিত করে রাখছে। বেশিদিন সময় নাই, আপনাদেরকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে, আপনাদের বিচার হবে’- বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, আপনারা কোনো দলের কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। আপনারা এদেশের মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এভাবে হামলা করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আপনারা নিজেদের শপথ ভঙ্গ করছেন। অনেক হয়েছে, আর নয়। আর আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আপনারা হামলা করবেন না।’

ড. মোশাররফ বলেন, ‘সরকারের মেগা দুর্নীতির জন্য আজকে দেশে দুরবস্থা, এই মেগা দুর্নীতির জন্য আজকে আমাদের রিজার্ভ কমে গেছে, আজকে ডলারের সংকট, আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে। ওরা শেয়ার বাজার লুট করেছে, রিজার্ভ লুট করেছে, ব্যাংকের অর্থ লুট করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এই দুরবস্থা থেকে এদেশের মানুষকে মুক্ত করতে হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। এই আওয়ামী লীগ পঁচাত্তরের গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আবার শেখ হাসিনা গণতন্ত্র হত্যা করে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের জনগণ আর চায় না। আমাদের এখন দায়িত্ব দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে, সকল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটানো। এর কোনো বিকল্প নাই। আসুন আমরা সকলে মিলে দেশকে মুক্ত করি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘জনগণের শুধু একটা ভোট দিতে চায়। আর কিছু চায় না। এই সরকার কী করেছে? সেই ভোট চুরি করে একটি ‍ভূয়া সংসদ তৈরি করেছে। এই ভূয়া সংসদ বাতিল করতে হবে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর