শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের কুলখানি অনুষ্ঠিত
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪৪
ঢাকা: ৫২-এর ভাষা সৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী সদ্য প্রয়াত শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনর কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর মরহুমের গুলশানের বাসভবনে এই কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। ছাত্র রাজনীতির এক কিংবদন্তি ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠক শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মৃত্যুতে একটি ইতিহাসের সমাপ্তি হলো।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক মন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তফিজুর রহমান মোস্তফা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট ফরিদ হোসেন ভুইয়া, জাতীয় পার্টি-জাপার সাবেক অতিরিক্ত মহাসচিব মো. আনোয়ার হোসেন, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুস সবুর আসুদ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জিনাফ সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার হোসেন, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, প্রয়াত শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের ঘনিষ্ঠজন যুবদল নেতা এইচ এম সাইফ আলী খান প্রমুখ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সময়ের আলোচিত ব্যক্তি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন গত ১৪ সেপ্টেম্বর ৮৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের দোগাছি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। রাজনীতি তার হাতে খড়ি হয় পাকিস্তান আমলে ছাত্রলীগ করার মাধ্যমে। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাস করেন তিনি। এর পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আই এ পড়ার সময় ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন শাহ মোয়াজ্জেম। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ১৯৫৮ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন, পরে সভাপতি নির্বাচিত হন।
ছাত্রজীবন শেষে শাহ মোয়াজ্জেম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। স্বাধীনতার পর প্রথম সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে চিফ হুইপ বানিয়েছিলেন।
পরে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সরকারে উপ-প্রধানমন্ত্রী হন। জাতীয় পার্টির মহাসচিবও করা হয়েছিল শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।
নিয়মিত লেখালেখি করতেন শাহ মোয়াজ্জেম। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে ‘নিত্য কারাগারে’, ‘বলেছি বলছি বলব’, ‘ছাব্বিশ সেল’, ‘জেল হত্যা মামলা’ উল্লেখযোগ্য।
সারাবাংলা/এজেড/একে