ভোটারদের ১০ আঙুলের ছাপ দিতে হবে: ইসি
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৪৬
ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) যাদের চার আঙুলের ছাপ দেওয়া আছে, তাদের ফের ১০ আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ভোটারদের ১০ আঙুলের ছাপ নিতে আগামী বছর একটি প্রকল্প হাতে নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে যারা স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করার সময় ১০ আঙুলের ছাপ দিয়েছেন, তাদের আর দিতে হবে না।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর এসব কথা বলেন। ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ‘একটি কথা বলি, আমরা যেহেতু আগামী ভোট (জাতীয় নির্বাচন) আরও সুন্দর করতে চাই, এ কারণে আমরা ফিঙ্গার প্রিন্ট আপডেট করব। যারা স্মার্টকার্ড নিয়েছেন, তারা দশ আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছেন। যারা দশ আঙুলের ছাপ দেয়নি, আগামী জানুয়ারি থেকে আমরা ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা কমিশনের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। চলমান হালনাগাদ শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের (আগামী বছরের ২ মার্চ) পরপরই এই কার্যক্রমে যাব।’
একেএম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘যারা নতুন ভোটার, তাদের এসএসসি, পিএসসি, জেএসসি প্রয়োজনে জন্ম নিবন্ধন দেখে নিচ্ছি, যাতে ভুল না হয়। একটি বিষয় সতর্ক থাকতে বলব, যারা বয়স্ক ব্যক্তি তাদের যেন সচেতনভাবে যাচাই-বাছাই করে ভোটার করা হয়। ঢাকায় নানা ধরনের মানুষ বসবাস করেন। আফ্রিকা থেকে ল্যাটিন আমেরিকার লোকজন বসবাস করেন। কাজেই তারাও ভোটার হতে চাইতে পারেন। পরিপূর্ণ তথ্য না দিলে ভোটার করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিজীবী রেশন তোলার জন্য তিন-চার বছর পর একজন স্ত্রীর নাম দিয়ে থাকেন। এখন সত্যিকার যখন বিয়ে হয়, তখন যার সঙ্গে বিয়ে হয় সেই নামের সঙ্গে ওই আগের নামের মিল থাকে না। পেনশনে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তখন সংশোধনের জন্য আসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের আবার জন্মসনদ দুটো/তিনটা কার্যকর থাকে। আপনারা এসব ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হবেন। যদি বয়স্ক কেউ ভোটার হন, দুটো জন্ম সনদ থাকে, তবে ধরে নেবেন- ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। আর যদি একেবারে নতুন ভোটার হন তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদ তো রয়েছে। সেটা ফলো করতে হবে। ওয়ারিশান সনদটা ভালো করে দেখে নিয়েন, যেন ছোট ভাই বড় না হয়ে যান। এসব বিষয় খেয়াল রাখবেন।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের চারপাশে দালাল শ্রেণি আছে। প্রতিনিয়ত আপনাকে-আমাকে বিক্রি করছে। এদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলবেন না। পত্রিকায় এসেছে যে, দিনাজপুরে নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে কান্না করে বলছে, ‘আমাকে একটু জীবিত করে দেন। আমি মরি নাই।’ তখন আমরা আপনাদের সফটওয়্যার দিয়ে দিলাম, সেখান থেকে এখন সেটা ঠিক করতে পারছেন। আমরা এবার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত নিচ্ছি। আগামী বছর বয়স হয়তো আরও পেছনে যাব।’
বৈঠকে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘আমরা সেবা দিই। কিন্তু গতি বাড়াতে না পারলে নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অনেস্টি, সিনসিয়ারিটি যদি থাকে, তাহলে আমরা পারব। অতীতের চেয়ে গতি বেড়েছে, কিন্তু আরও বাড়াতে হবে।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম