বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক দীর্ঘজীবী হোক: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৫১
ঢাকা: বাংলাদেশ এবং চীনের সম্পর্ক সুন্দর এবং দীর্ঘজীবী হোক বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ইউনান কমার্শিয়াল রিপ্রেজেনটেটিভ কর্তৃক আয়োজিত ‘কালারফুল ইউনান’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৩ লাখ ৯৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত ইউনান প্রদেশ,যার মধ্যে ৮০ ভাগ সমতল। বাংলাদেশের চাইতে যা প্রায় তিন গুণ বড়। যদিও জনসংখ্যা অনেক কম, মাত্র ৫ কোটি।’
চীনের এই প্রদেশের একটা ন্যাচারাল প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে। একপাশে আছে ভিয়েতনাম, অন্যপাশে মিয়ানমার।
তিনি বলেন, ‘ইউনান প্রদেশে বিপুল পরিমাণে ফুল উৎপাদন হয়। আমি যখন ইউনানে যাই, তখন এত ফুল দেখে ভেবেছিলাম এগুলো আসল নাকি কাগজের?’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটনগত দিক থেকে ইউনান অসাধারণ স্থান। তার অন্যতম কারণ হলো জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। আমাদের ঢাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব এত বেশি যে, পর্যটনের জন্য যা উপযুক্ত হয়ে উঠছে না। তবুও আমরা উন্নতির চেষ্টা করছি।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের যে বাণিজ্যিক লেনদেন, সেটি অসমান। আমাদের শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের রিকুয়েস্ট করব যে বাণিজ্যিক লেনদেনের এ অসমতা কমিয়ে আনতে। বিশেষত যারা প্রাইভেট সেক্টরের ব্যবসায়ী, তারা এগিয়ে এলে এই অসমতা অনেকটাই কেটে যাবে।’
আয়োজিত মেলায় ইউনান প্রদেশের সংস্কৃতি, ফুল, বিভিন্ন ধরনের অর্গানিক খাবার এবং নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া ইউনান প্রদেশ সম্পর্কিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত এইচ ই লি জিমিং ইউনান প্রদেশের গভর্নর এইচ ই ওয়াং ইউবো, চীনের বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশে ইউনান কমার্শিয়াল প্রতিনিধি অফিসের পরিচালক লি ঝিয়াও উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠান চীনের ৭৩ তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়।
সারাবাংলা/ইউজে/একে