৬ মাসে বেনাপোলে ১৬ কোটি টাকার সোনা জব্দ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৪৩
বেনাপোল: যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় সীমান্ত বেনাপোল দিয়ে বিজিবির কড়া পাহাড়ার মধ্যেও রুট ও কৌশল পরিবর্তন করে ভারতে সোনা পাচার করছে চোরাকারবারিরা। প্রতিনিয়ত বিজিবির হাতে সোনা ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিরা আটক হলেও থেমে নেই তারা।
পূজার সময় পাশের দেশ ভারতে সোনার ডিমান্ড ও চাহিদা বেশি থাকায় সীমান্ত দিয়ে সোনার চালান বেশি পাচার হয়। গত ছয় মাসে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত থেকে প্রায় ১৬ কোটি টাকার সোনা জব্দ ও ১২ জন সোনা পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
শার্শা ও বেনাপোলের রুদ্রপুর, গোগা, পুটখালী, কায়বা, অগ্রভুলাট, পাঁচভুলাট, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, শ্যালকোণা আন্দোলিয়া এসব সীমান্ত রুট আকারে ব্যবহার করে বিভিন্ন কৌশলে পাচারকারীরা বেশীর ভাগ সোনা ভারতে পাচার করে। গত ছয় মাসে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন ৩১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা থেকে ১০টি সোনার চালান আটক করা হয়।
এ সময় ১২ জন আসামিসহ মোট ১৯ কেজি ২২৬ গ্রাম সোনা আটক করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা। গত ৮ চালানের মধ্যে আগস্ট মাসেই চারটি ও সেপ্টেম্বর মাসে চারটি সোনার চালান আটক করা
হয়েছে।
এছাড়া ফেব্রুয়ারী মাসে একটি ও এপ্রিল মাসে একটি সোনার চালান আটক করা হয়। গডফাদাররা যে সময়ে যে সরকার থাকে তারা সেসময়ে সরকারি ছত্রছায়ায় ও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় পাচারকারীরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে সোনা চোরাচালান করে। সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি ব্যাটালিয়ন এবং পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ তানভীর রহমান (পিএসসি) বলেন, ‘বিজিবি মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্ত দিয়ে সোনা চোরাচালান রোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। আটক ১২ জনের মধ্যে ১১ জন সোনা পাচারকারী এবং একজন সোনা ব্যবসায়ী। গডফাদারসহ পাচারকারীদের আটক করতে সীমান্তে অতিরিক্ত টহল ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুত সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনবো। চোরাচালান রোধে আরও কিছু বিজিবি পোস্ট নির্মাণ করা হবে এবং পোস্টে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর জন্যই একের পর এক সোনার চালান সীমান্ত থেকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। আর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সারাবাংলা/ইআ