Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমি নির্দোষ, রায়ের পর জি কে শামীম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:০৫

ঢাকা: আমাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত জিকে শামীমসহ তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, জি কে শামীমের সহযোগী সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জি কে শামীম সাংবাদিকদের, উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কেন করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘স্বার্থের জন্য। আমাকে সিন্ডিকেটের লোকজন ফাঁসিয়ে দিয়েছে।’

এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’

অন্যদিকে তবে জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়েছে মর্মে ডকুমেন্ট দেখালেও তা যাচাইয়ে তার সঠিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ওই অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথমে এস.এম বিল্ডার্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। পরে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামি জিকে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে যোগদান করে কাজ করে আসছিল। সে মূলত অবৈধ অস্ত্রটি ৭০ হাজার টাকায় ক্রয় করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/একে

অস্ত্র মামলা জি কে শামীম রায়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর