কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে পর্যটনমেলা, হোটেল-মোটেলে মিলছে ছাড়
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৫১
কক্সবাজার: বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে রয়েছে জমকালো আয়োজন। পর্যটনসেবায় হোটেল-মোটেল ও রেঁস্তোরায় রয়েছে আকর্ষণীয় ছাড়। সমুদ্র সৈকতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে উৎসব। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।
পর্যটন মেলাকে কেন্দ্র করে লাবণী বিচের বিএমসি’র তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মেলায় পর্যটকদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় অফার। হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসগুলোতে সাত দিনের জন্য ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। সব রেঁস্তোরায় খাবারের উপরেও রয়েছে ৫০ শতাংশ ছাড়।
এছাড়া সৈকতে প্রতি কপি ছবি তোলা যাবে মাত্র দুই টাকায়। ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক, প্যারাসেইলিং, ছাতা চেয়ার, লকার, এমনকি গাড়ি পার্কিংয়েও থাকবে বিশেষ ছাড়। এ সুবিধা মিলবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ জানান, ‘বেড়াতে আসা পর্যটকদের বরণ করা হবে ফুল দিয়ে। আকর্ষণীয় ছাড় ও সেবা দিয়ে এবারের মেলাকে স্মরণীয় করে রাখা হবে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে তৈরি হচ্ছে বিশাল মঞ্চ। আশপাশের ফুটপাতে গড়ে তোলা হচ্ছে দুই শতাধিক স্টলের অবকাঠামো।’ এছাড়া তুলে ধরা হবে কক্সবাজারের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, কক্সবাজার সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে লাবণী পয়েন্টে সাত দিন ধরে প্রতিদিন মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে নানা আয়োজন। সমুদ্র পাড়ে বালি ভাস্কর্যের সঙ্গে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঘুড়ি উৎসব, ফানুস উৎসব, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক উৎসব, পিঠা উৎসব, স্থানীয় খাবার মেলা, বিদেশিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফায়ার ওর্য়াক শো, ডিজে শো, রোড় শো, কনসার্ট, বীচ বাইক র্যালী, আতশবাজি ও ম্যাজিক শো’সহ নানা আয়োজন।
মেলায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান জানান, মেলায় আসা পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে অন্যন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে পুরো এলাকা।
কক্সবাজারে ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস। যেখানে পর্যটকের ধারণ ক্ষমতা প্রায় দেড় লাখ। রয়েছে শতাধিক রেঁস্তোরা।
সারাবাংলা/এমও