নড়াইলে প্রতীক বরাদ্দের সময় মারামারি, ভাংচুর
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:১৭
ঢাকা: নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় মারামারি, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশসহ আটজন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের হলরুমে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন বেলা ১১টার দিকে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। পুরুষ ওয়ার্ডে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী খোকন কুমার সাহা ও ওবায়দুর রহমান দুজনই তালা মার্কা চান। নির্বাচনি বিধান অনুযায়ী একই মার্কা দুজন চাইলে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন খোকন কুমার সাহা ওবায়দুর রহমানকে জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রকাশ্যে সবার সামনে গালিগালাজ করে মুখে ঘুষি মারলে ওবায়দুরও পাল্টা আঘাত করেন।
এছাড়া, জেলা প্রশাসকের হলরুমের অপরপ্রান্তে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশিপুর ইউুনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলীকে বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে সরদার আলমগীর হোসেনের লোকজন আচমকা বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের হলরুমের চেয়ার ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, ‘আমি প্রতীক বরাদ্দের সময় অনুপস্থিত ছিলাম। তাই আমার হয়ে প্রতীক আনতে যান আমার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীসহ কিছু লোকজন। জেলার সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত জায়গায় আমার লোকজনকে মারপিট করেছে। এতে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমি মামলা করব। আমি উপযুক্ত বিচার চাই।’
মারামারির বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সুবাস বোস বলেন, ‘আমি আনারস প্রতীক চেয়েছি। আবার সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুও আনারস চেয়েছে। তখন লিটুর লোকজন বলে ওঠে, আমরা যদি আনারস না পাই তাহলে কেন এসেছি। এ কথা শোনার পরে আমার লোকজনের সঙ্গে সামান্য হাতাহাতি হয়।’
হামলা, মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা স্বীকার করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের নির্দেশে কিছু সময় প্রতীক বরাদ্দের কাজ বন্ধ রাখি। পরে আপস হলে কার্যক্রম শেষ করি।’
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কাউন্সিলর প্রার্থী ওবায়দুর রহমান ও খোকন কুমার সাহাকে শোকজ করা হবে। এবং নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।’
বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর লোকজনের ওপর হামলা ও হলরুমের চেয়ার ভাংচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে আমরা বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা/পিটিএম