প্রতিযোগিতা কমিশনের শুনানিতে কাজী ফার্মসের এমডি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪১
ঢাকা: ডিম ও ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগে কাজী ফার্মস গ্রুপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের দায়ের করা দুই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে কাজী ফার্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শুনানিতে কাজী ফার্মসের পক্ষে আইনজীবী এসএম শিহাব উদ্দীন ও বিশ্বজিং দেব অংশ নেন।
শুনানিতে প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে দায়ের দুই মামলার প্রয়োজনীয় তদন্ত করতে বেশকিছু তথ্যাদি কাজী ফার্মসের কাছে চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্য আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রতিযোগিতা কমিশনের এজলাসে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) চাল, আটা/ময়দা, ডিম, বয়লার মুরগির মাংস, সাবান ও গুঁড়া সাবান ও টয়লেট্রিজ পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে বাজারে অস্থিরতা তৈরির অভিযোগে ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
এসব মামলার মধ্যে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কাজী ফার্মস গ্রুপের বিরুদ্ধে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে কারসাজির অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
কাজী গ্রুপের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের কারসাজির জন্য বিগত সময়ে নিত্যপণ্য ও সবধরনের নিত্যব্যবহার্য পণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কোম্পানিগুলো সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে। সেজন্য প্রতিযোগিতা কমিশন ‘স্ব-প্রণোদিত’ ৪৪টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলার মধ্যে কাজী ফার্মের ডিম ও মুরগি নিয়ে কারসাজির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুননানির জন্য তাদের এমডিকে তলব করা হয়। এতে সাড়া দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও দু’জন আইনজীবী শুনানির জন্য সোমবার প্রতিযোগিতা কমিশনে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে দেশের বাজারে চাল, তেল, আটা, ডিম, মুরগি, সাবান, ডিটারজেন্ট ও টুথপেস্টের বাজারে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোক্তা অধিদফতর থেকে ডিমের বাজার কারসাজিতে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ