সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে প্রাথমিকের অফিসারদের বাধ্যবাধকতা
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:০৫
ঢাকা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারে বাধ্য-বাধকতা ঠিক করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোনো কিছুতে লাইক কমেন্ট করা যাবে না। এ ছাড়া জাতীয় ঐক্য পরিপন্থী তথ্য উপাত্ত প্রকাশ না করার পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এমন কর্মকাণ্ড করলে এর জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিনি দায়ী হবেন এবং তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সকল পরিচালক, প্রকল্প পরিচালক, উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই, সকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ইনস্ট্রাক্টর, ইউআরসি বরাবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও, ভিডিও আপলোড, কমেন্ট লাইক শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাতীয় ঐক্য ও চেতনা পরিপন্থী তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।
আরও বলা হয়েছে, কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির পরিপন্থী কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও- ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য যেকোনো সার্ভিস বা পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বির্তকমূলক কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন বিষয়ে লেখা বা অডিও- ভিডিও প্রকাশ বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার করা যাবে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এব কর্মকাণ্ড করলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী হবেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদের করণীয় নির্ধারন করা এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাফতরিক ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করা এবং এতে পরিহারযোগ্য বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোনো কন্টেন্ট বা ফ্রেন্ড সিলেকশনে সকলকে সর্তকর্তা অবলম্বন ও অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার পরিহার করতে হবে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ব্যবহার নির্দেশনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম