বাবুল-ইলিয়াসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা: প্রতিবেদন ৬ নভেম্বর
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:০০
ঢাকা: পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আকতার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মামলাটির এজাহার আদালতে আসে। এরপর ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন, বাবুল আকতারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
এর আগে, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী ‘সাংবাদিক’ ইলিয়াস হোসেন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভিডিওতে দাবি করা হয়, এই মামলায় বাবুল আকতারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার। এ ছাড়া বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আকতার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বাবুল আকতারের দায়ের করা মামলায় মিতু হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।
গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আকতারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন বাবুল আকতার।
এদিকে ইলিয়াসের ভিডিওটি প্রকাশের পরই পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল আকতার। তবে মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
এদিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী বরখাস্ত এসপি বাবুল আকতারকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে পিবিআই।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলামের কাছে মামলার চার্জশিটসহ কেস ডকেট ভর্তি লাগেজ হস্তান্তর করেন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক ওমর ফারুক। লাগেজের ওপরে লাগানো ছিল মিতুর ছবি। লেখা ছিল মিতু হত্যা মামলার কেস ডকেট। যে কেস ডকেট দেওয়া হয়েছে তা ২০৮৪ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে মূল চার্জশিট হচ্ছে ২০ পৃষ্ঠার। আর আলামত রয়েছে ২১ ধরনের। ওই মামলার চার্জশিটে ৯৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এআই/ইআ